‘আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। কারো সঙ্গে যুদ্ধ নয়, শান্তিই কাম্য। তবে আত্মরক্ষার ক্ষমতা থাকতে হবে। সমুদ্রসীমায় সম্পদের সুষ্ঠু নিরাপত্তায় সরকার নৌবাহিনীকে আরো আধুনিক করে গড়ে তুলতে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

রোববার বাগেরহাটের মংলার নৌঘাঁটিতে নৌবাহিনীর ৩টি নতুন জাহাজের কমিশনিং অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। ইতিমধ্যে নৌবাহিনীকে নতুন নতুন যুদ্ধজাহাজসহ অত্যাধুনিক জলযান দিয়ে ও নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখে সুশজ্জিত বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সমুদ্রসীমা জয়ের আমাদের অংশে বিশাল সমুদ্রসম্পদ রক্ষা, আহরণ, চোরাচালান রোধ ও সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নৌবাহিনীকে ঢেলে সাজানোর কাজ অব্যাহত রয়েছে।

বেলা ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে প্রধানমন্ত্রী মংলা নৌঘাঁটিতে এসে পৌঁছান। এরপর প্রধানমন্ত্রী সেখানে নেভাল বার্থে নবনির্মিত এলসিটি- ১০৩ ও এলসিটি- ১০৫ নৌবাহিনীতে সংযুক্তিকরণ ও বানৌজা খানজাহান আলী, বানৌজা সন্দ্বীপ ও বানৌজা হাতিয়ার কমিশনিং অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এরপর দুপুরে খুলনা শিপইয়ার্ডে (কেএসওয়াই) দুটি ‘লার্জ পেট্রোল ক্র্যাফট’ (এলপিসি)-এর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা। এটাই হবে দেশে নির্মিত প্রথম যুদ্ধজাহাজ।

উল্লেখ্য, কেএসওয়াই এর আগে ৫টি পেট্রোল ক্র্যাফট নির্মাণ করেছে।

বৃহৎ পেট্রোল কার হিসেবে এলপিসি দুটি ৭৯৩ কোটি ১৪ লাখ টাকায় নির্মিত হবে এবং তা ২০১৭ সালের আগস্টে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।

খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর এস ইরশাদ আহমেদ বলেন, দেশে তৈরি এই যুদ্ধজাহাজ বিদেশ থেকে আমদানিকৃত যুদ্ধজাহাজের তুলনায় অনেক সক্ষমতাসম্পন্ন হবে। কেএসওয়াইর এলপিসিতে বড় করভেট্টিজ-এর অধিকাংশ সুযোগ-সুবিধাও থাকবে। এটি শত্রু সাবমেরিন চিহ্নিত ও তাদের ওপর আক্রমণে সক্ষম হবে।



মন্তব্য চালু নেই