আবুধাবিতে অগ্নিকাণ্ডে রাউজানের ৬ প্রবাসি নিহত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে একটি টায়ারের দোকানে অগ্নিকাণ্ডে ৭জন বাংলাদেশীসহ ১০জন মারা গেছেন। অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়েছেন আরো ৩০ জন। আহতদের মধ্যেও বাংলাদেশি কর্মীরাও রয়েছেন বলে দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

নিহতদের কয়েকজন ভারতীয় নাগরিক বাকি বেশির ভাগের বাড়ী বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলায় বলে বিভিন্ন সুত্রে জানাগেছে। ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাউজানের ৬ জনের মৃত্যু সংবাদ বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রচার হলে নিহতদের পরিবারসহ উপজেলার সর্বত্র শোকের মাতমে চারদিকের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। এ ঘটনায় রাউজানের সংবাদকর্মীদের মোবাইলে ফোনে অনেক প্রবাসির পরিবারের সদস্যরা জানতে চাচ্ছেন নিহতদের নাম ঠিকানা। অনেকের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে জ্ঞান হারাচ্ছেন নিহতদের স্বনজরা।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাউজানের নিহত ৫ প্রবাসির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের মধ্যে একজনের বাড়ী রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের পাচখাইন দরগাহ বাড়ীতে। তার নাম মহিউদ্দিন (৪০)। পিতার নাম মৃত নুর আহমদ মাস্টার। তার পরিচয় সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ভুপেশ বড়–য়া।

এছাড়াও উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের বদুমুন্সি পাড়ার ইসমাঈল নামের আরেকজন এ ঘটনায় অগ্নিদগদ্ধ হয়ে নিহত হন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদিকে অসমর্থিত একটি সুত্রে খবর পাওয়া গেছে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চৌধুরীহাটের আজাদের পুত্র এনাম নামের এক আবুধাবী প্রবাসি একই ঘটনায় নিহত হয়।

এছাড়াও চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি উপজেলার সুয়াবিল গ্রামের আব্দুশ শুক্কুর, সেলিম উদ্দিন নামের দুজন নিহত হয়। উল্লেখ্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানীর শিল্পনগরী মোসাফফাহ ৭নং প্রথম গলিতে শুক্রবার রাত ৩টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত ১০ জনের লাশ আবুধাবি শেখ খলিফা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। তাদের ডিএনএ টেস্ট করে পরিচয় সনাক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আহতদেরকে আবুধাবির বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রত্যদর্শী ও আহত কয়েকজন জানান, ‘ওই ভবনের নিচে রেস্টুরেন্ট ও গাড়ির টায়ারের দোকানের উপরে বাসস্থানে সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। আবুধাবী দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর আমান উল্লাহ চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই