আবিষ্কার হলো ‘চোর’ ধরা প্রযুক্তি !
আজকাল প্রায় সবই করে দিচ্ছে প্রযুক্তি। এই যেমন বাজার করা, ট্রাফিক সিগনাল, কিংবা অন্ধদের রাস্তাদেখানোর কাজ। এতো সব জটিল কাজ যদি প্রযুক্তির সাহায্যে চেখের পলকেই যদি সমাধান হতে পারে তাহলে চোর কেন ধরা যাবে না? সত্যি তাই সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমনই এক স্যাটেলাইট মডেম ট্রান্সমিটার আবিষ্কার করেছে যেটা চোর ধরিয়ে দেবে।
ইদানিং বিশ্বে অনেক দেশেই গাছ কাটার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। বিশেষে করে আমাজান অঞ্চলে চুরি করে গাছ কাটার মহা উৎসব হচ্ছে।পরিবেশ ও বন সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার’ বা ডাব্লিউডাব্লিউএফ সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে আশঙ্কা করা হয়, আগামী ১৫ বছরে প্রায় ১৭০ মিলিয়ন হেক্টর বন ধ্বংস হতে পারে। এর প্রায় ৮০ শতাংশই হতে পারে আমাজন সহ বিশ্বের ১১টি বনে।
এই অবস্থায় অবৈধ গাছ কাটা প্রতিরোধে কার্যকর উপায়ের কথা ভাবছে বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন সংস্থা। ক্রাউডসোর্সিং এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এর মাধ্যমে বনজঙ্গল এলাকায় বসবাসকারীরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অবৈধ গাছ কাটার ব্যাপারে বনের নিরাপত্তারক্ষীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে সমস্যা হলো, সব জায়গায় তো আর ইন্টারনেট সংযোগ নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে কি হবে?
এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসারও একটি উপায় বের করেছে ব্রিটেনের ‘রেনফরেস্ট ফাউন্ডেশন’ বা আরএফইউকে।
এই ব্যবস্থায় স্যাটেলাইট মডেম ট্রান্সমিটার ব্যবহার করে মাত্র ২০ সেকেন্ডের মধ্যেই অবৈধ গাছ কাটার খবর একটি সার্ভারে পাঠানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে আরএফইউকে। এভাবে পাওয়া তথ্য বিশেষজ্ঞরা বিশ্লেষণ করে স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানাবে। মোবাইলের একটি এসএমএস পাঠাতে যে খরচ হয় এক্ষেত্রেও সেটাই হবে বলে জানিয়েছে আরএফইউকে।
উদ্ভাবিত এই পদ্ধতি কতটা কার্যকর তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ক্যামেরুনের রেনফরেস্ট এলাকায় বসবাসকারী দু’টি সম্প্রদায়ের লোকজনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
শুধু অবৈধ গাছ কাটাই নয়, এই পদ্ধতি ব্যবহার করে বন্য প্রাণীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, অবৈধ পশুপাখি শিকারসহ নানা বিষয়ে নজরদারি করা সম্ভব বলে জানিয়েছে আরএফইউকে।
সূত্র: ডিডব্লিউ
মন্তব্য চালু নেই