আবারও শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহ ম্যাজিক

আগের ম্যাচে মাত্র ৪৪ রানে অলআউট। আজকের ম্যাচে রান হল ১২৭! টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেখানে ২০০ রানও যথেস্ট না সেখানে ১২৭ রানের পুঁজি কিছুই না।

কিন্তু এ রানেও কিভাবে জয় পাওয়া সম্ভব, তা করে দেখাল খুলনা টাইটান্স। জয়ের মূল নায়ক ৪ উইকেট নেওয়া শফিউল ইসলাম কিংবা ২ উইকেট নেওয়া কেভিন কুপার। কিন্তু মহানায়ক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শুধু ম্যাচ জেতাননি রিয়াদ, খুলনাকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেছেন!

শেষ ওভারে ৬ রানের প্রয়োজনে ব্যাটিং করছিলেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী (৩৮) ও শ্রীলঙ্কার চতুরঙ্গ ডি সিলভা (১৯)। কিন্তু দ্বিতীয় বল থেকেই ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম বলে মোহাম্মদ নবী ১ রান নিয়ে প্রান্ত বদল করেন। চতুরঙ্গ ডি সিলভা দ্বিতীয় বলে আলসেমি করতে গিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পিছনে।

এক বল পরে মাহমুদল্লাহর বলে উঠিয়ে মারতে গিয়ে আউট হন আব্দুর রাজ্জাক। শেষ দুই বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫ রানের। পঞ্চম বল ডট হওয়ার পর শেষ বলে জয়ের জন্য ৫ রান প্রয়োজন ছিল চিটাগংয়ের। কিন্তু মাহমুদউল্লাহর হাফ ভলি মিড উইকেটও পার করতে পারেননি নবী। অলকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৪ রানে হার মানতে হয় তামিমের চিটাগংকে।

দুই হাত আকাশে তুলে মাহমুদউল্লাহও অবাক। মনে মনে বলছিলেন,‘কি ম্যাচ জিতলাম রে….’। সতীর্থদের বাঁধভাঙ্গা উল্লাস কিন্তু সেই উল্লাসে ম্লান তামিমের হাসি। নাটকীয় এক জয়ে মাহমুদউল্লাহ ফিরিয়ে নিয়ে আসলেন দুই দিনের আগের স্মৃতি।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে একই ধরণের ম্যাচ জিতেছিলেন মাহমুদউল্লাহর দল। শেষ ৬ বলে ৭ রানের প্রয়োজনে ব্যাটিং করে রাজশাহী ৩ রানের আক্ষেপে পুড়ে। মাহমুদউল্লাহ রাজশাহীর বিপক্ষেও শেষ ওভারে নিয়েছেন ৩ উইকেট। আউট করেছিলেন আবুল হাসান, মোহাম্মদ সামী ও নাজমুল ইসলামকে। তবে আজকের ম্যাচ প্রতিষ্ঠিত ২ ব্যাটসম্যানকে আউট করে জয় ছিনিয়ে আনায় বাড়তি আনন্দই পেয়েছে মাহমুদউল্লাহ, খুলনা টাইটান্স।



মন্তব্য চালু নেই