আপাতত মশাল জাসদের দু’পক্ষেরই
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) দুই পক্ষকেই আপাতত মশাল প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে গঠিত জাসদের একটি অংশের পরামর্শে ইসি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
তাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে দলটির চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জাসদের মশাল প্রতীক নিয়েই প্রচারণা চালানোর সুযোগ পাচ্ছেন। আর চতুর্থ ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের আগেই এ নিয়ে সমাধানে পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই ভাগে বিভক্ত হওয়ার পর উভয় পক্ষই মশাল প্রতীক দাবি করে আসছে। পরে ইসি বুধবার এ নিয়ে শুনানি করে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ৬২১টি ইউপির মধ্যে জাসদের চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন ৩৬টিতে। এর মধ্যে ইনু-শিরিন অংশের ২৭ জন এবং আম্বিয়া-প্রধান অংশের ৯ জন। একই ইউনিয়নে উভয় অংশের কোনো প্রার্থী নেই। প্রত্যেকে আলাদা ইউনিয়নে। তাই উভয় অংশকেই মশাল প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। তবে চতুর্থ ধাপের আগেই প্রতীকের বিষয়ে সমাধানে না পৌঁছালে বিষয়টি জটিল হয়ে যাবে বলে মনে করেন ইসি কর্মকর্তারা।
ইসির শুনানিতে হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে গঠিত জাসদের একটি অংশ জানায়, দুই পক্ষের আবার একত্রিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আসন্ন তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে একই ইউপিতে জাসদের দুই পক্ষের কোনো প্রার্থী নেই। তাই দুই পক্ষের জন্যই মশাল প্রতীক বরাদ্দের অনুরোধ করেন তারা। ঝামেলা এড়াতে এই প্রস্তাবই লুফে নেয় ইসি। তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মহানগর নাট্যমঞ্চে জাসদের কাউন্সিল অধিবেশনে সাধারণ সম্পাদক পদে নেতা নির্বাচন নিয়ে এই বিভক্তি ঘটে। এক পক্ষ হাসানুল হক ইনুকে সভাপতি ও শিরীন আখতারকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে। অপর পক্ষ শরীফ নুরুল আম্বিয়াকে সভাপতি ও নাজমুল হক প্রধানকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে।
মন্তব্য চালু নেই