আপনি বুদ্ধিমান, বুঝে নিন কয়েকটি লক্ষণে
নির্বোধরা আসলে তাদের প্রতিযোগীকে অতিমানব বলে ভাবেন। কিন্তু স্মার্ট মানুষরা নিজেদের কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন বলেই মনে করেন। অনেক সময় জ্ঞানী মানুষরাও নিজেদের বোকা বলে মনে করেন। আপনি বুদ্ধিমান কিনা তা বোঝার কিছু লক্ষণ রয়েছে। কর্নেল ইউনিভার্সিটির এ সংক্রান্ত গবেষণাটি করেন ডেভিড ডানিং এবং জাস্টিন ক্রুগনার। তাদের এই পদ্ধতি ডানিং-ক্রুগনার ইফেক্ট নামে পরিচিতি লাভ করে। এখানে নিজের বুদ্ধিমত্তা রয়েছে তার স্পষ্ট হওয়ার কিছু লক্ষণ দেওয়া হলো।
১. আমি সঙ্গীতের শিক্ষা নেন: গবেষণায় বলা হয়, সঙ্গীত শিশুর মানসিক বিকাশে সহায়ক। ২০১১ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, ৪-৬ বছর বয়সী শিশুদের কথা বলার ক্ষেত্রে মেধা অনেক বেড়ে গেছে মাত্র এক মাসের সঙ্গীত শিক্ষা নিয়ে।
২. আপনি সবার বড়: পরিবারের বড় সন্তানরা অন্যদের চেয়ে সাধারণত স্মার্ট হয়। তবে এটা জেনেটিক কারণে নয়।
৩. আপনি পাতলা দেহের অধিকারী: ২০০৬ সালের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২২০০ প্রাপ্তবয়স্ত মানুষের বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষা করা হয় টানা ৫ বছর ধরে। সেখানে দেখা যায়, যাদের কোমরের মাপ যত বেশি তাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা তত কম। অর্থাৎ, পাতলা দেহের অধিকারীরা বুদ্ধিমান হয়ে থাকেন।
৪. একটি বিড়াল আছে: ২০১৪ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, যারা কুকুর পছন্দ করেন তারা বাইরে যেতে পছন্দ করেন। আর বিড়ালপ্রিয় মানুষরা বাড়িতে থাকতেই পছন্দ করেন। ওই পরীক্ষায় যারা বিড়াল পছন্দ করেন তারা পারসোনালিটি এবং ইন্টেলিজেন্স টেস্ট অনেক বেশি স্কোর করেন।
৫. আপনি মায়ের বুকের দুধ খান: যারা বুকের দুধ খেয়ে বড় হয়েছেন তাদের বুদ্ধিমত্তা বেশি থাকে। এ সংক্রান্ত দুটো গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রিটেন এবং নিই জিল্যান্ডের ৩০০০ শিশুর মধ্যে তারাই বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যারা মায়ের বুকের দুধ খেয়েছেন।
৬. আপনি বাঁহাতি: গবেষকরা দেখেছেন, অপরাধীদের জগতে বাঁহাতি মানুষ বেশি দেখা যায়। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়, বাঁহাতি মানুষরা বৈচিত্র্যময় চিন্তা করতে সক্ষম। তাই তারা ভালো ভালো আইডিয়া বের করতে পারেন।
৭. আপনি লম্বা: ২০০৮ সালের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়, লম্বা মানুষরা বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে এগিয়ে থাকেন। শিশু অবস্থাতেও যাদের উচ্চতা বেশি, আইকিউ পরীক্ষায় তারা এগিয়ে থাকে।
৮. আপনি দ্রুত পড়তে পারেন: ২০১২ সালের এক গবেষণায় ব্রিটেনের ২ হাজার জোড়া যমজ শিশুর ওপর গবেষণা পরিচালিত হয়। তাতে দেখা যায়, যারা দ্রুত পড়তে পারে তারা দ্রুত শিখতে সক্ষম। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতার দৌড়ে তারাই এগিয়ে থাকে।
৯. আপনি অনেক দুশ্চিন্তা করেন: যদিও এ কাজটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তবে বেশ কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে, তারা বেশি দুশ্চিন্তা করেন তাদের বুদ্ধি বেশি। এক গবেষণায় ১২৬ জন শিক্ষার্থীর ওপর পর্যবেক্ষণ চালানো হয়। সেখানে জানা হয়, তারা কতটা দুশ্চিন্তা করেন। আসলে কোনো বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করার অর্থ অনেক ক্ষেত্র নিয়ে প্রচুর চিন্তা করা। এতে মস্তিষ্ক বেশ কর্মশীল হয়ে ওঠে।
১০. আপনি মজার মানুষ: এক পরীক্ষায় অংশম নেন ৪০০ জন মনোবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী। তারা অ্যাবস্ট্রাক্ট রিজোনিং এবং ভার্বাল ইন্টেলিজেন্স প্রকাশে পরীক্ষা দেন। তাদে দেখা যায়, যাদের সেন্স অব হিউমার বেশি তারা অন্যদের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান।
১১. আপনি আগ্রহী: ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের বিজনেস সাইকলজি প্রফেসর টমাস চামোরো-প্রিমুজি জানান, আগ্রহীদের মনটা বেশ ক্ষুধার্ত থাকে। তাদের আইকিউ এবং ইকিউ উভয়ই বেশ শক্তিশালী।
১২. আপনি এলোমেলো: সাইকোলজিক্যাল সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা কার্লসন স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের ড. ক্যাথলেন ভোস জানান, এলোমেলো কক্ষে কাজ করতে গেলে সৃষ্টিশীলতা বৃদ্ধি পায়।
১৩. হাইস্কুলের আগে সেক্স না করলে: হাইস্কুলে সেই সকল শিক্ষার্থীদের আইকিউ বেশি যারা কুমারত্ব বা কুমারিত্ব ধরে রাখেন। ইউনিভার্সিটি আব নর্থ ক্যারোলিনা চ্যাপেল হিলের এক গবেষণায় এ তথ্য দেওয়া হয়।
১৪. আপনি নিশাচর: দ্য অফিসিয়াল জার্নাল অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর দ্য স্টাডি অব ইন্ডিভিজুয়াল ডিফরেন্সেস’-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, রাতজাগা মানুষদের বুদ্ধিমত্তা বেশি থাকে।
১৫. সব সময় কঠোর চেষ্টার প্রয়োজন মনে করেন না: আসলে অলসতা যে সব সময় নির্বোধের লক্ষণ তা নয়। বরং স্মার্ট মানুষরা সব সময় কোনো কাজের পেছনে কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন অনুভব করেন না।
১৬. নিয়মিত মানুষের মাঝে থাকেন না: বন্ধু বা স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটাতে সব সময়ই ভালো লাগে। সিঙ্গাপুর ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের গবেষণায় বলা হয়, স্মার্ট মানুষরা একাকী থেকে সুখ অনুভব করেন।
১৭. আপনি ঘুরে-বেড়ান: এক গবেষণায় বলা হয়, আপনার যদি হেঁটে হেঁটে বিভিন্ন স্থানে ঘোরার অভ্যাস থাকে তবে আপনি বুদ্ধিমান হয়ে উঠবেন। যাদের এ অভ্যাস রয়েছে, তারা বুদ্ধিমান হয়ে ওঠেন। সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
মন্তব্য চালু নেই