‘আপনি কত বেতন চান?’ এমন প্রশ্নের জবাবে যা বলবেন

চাকরির ইন্টারভিউতে বেতনাদি প্রসঙ্গে কথা উঠতেই পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চাকরিদাতার ‘আপনি কত বেতন চান’- প্রশ্নের জবাবে প্রার্থীরা স্মার্ট জবাব দিতে ব্যর্থ হন। আপনাদের কৌশলী হতে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাত।

১. প্রার্থী হিসেবে আপনাকেই যদি বেতনের পরিমাণ উল্লেখ করতে হয়, তবে নির্দিষ্ট কোনো অঙ্কের কথা বলবেন না। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় বেতনের সীমা নির্ধারণ করলে। কারণ আপনি যে অঙ্কই উল্লেখ করুন না কেন, দরকষাকষির একপর্যায়ে সেখান থেকে নামতেই হবে। এ জন্য আগে থেকে নিজের ন্যূনতম চাহিদা স্থির করে নিন। আলোচনার ক্ষেত্রে ওপরের সীমায় রাখুন আপনার সর্বোচ্চ চাহিদা।

২. অন্যান্য উৎসের সূত্র ধরেও বেতনের পরিমাণ তুলে ধরতে পারেন। আপনার চাহিদার কথা সরাসরি না তুলে এভাবে বলতে পারেন- ‘অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে এ কাজের জন্য সাধারণত…।’

৩. আপনার চাহিদার বিষয়ে সৎ থাকতে হবে। নিজের দক্ষতা ও চাহিদাকে সমন্বয় করে বেতনের পরিমাণ নির্ধারণ করুন।

৪. বেতনের কথা উঠলে আগে বুঝে নিতে হবে, মূল বেতন নিয়ে আলাপ করছেন, নাকি সুবিধাদিসহ মোট বেতন নিয়ে কথা হচ্ছে। হয়তো চাকরিদাতারা মূল বেতন নিয়ে কথা বলছেন, কিন্তু সেই অঙ্ক কম মনে করে আপনি অনেক বেশি চাইছেন। এ জন্য শুরুতে বেতনের কোন অংশ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তা জেনে নিন।

৫. যে অঙ্কটি উল্লেখ করবেন তা অবশ্যই যুক্তিসংগত হতে হবে। যদি চাঁদ ছুঁতে চান, তবে তার যৌক্তিক ব্যাখ্যা তুলে ধরতে হবে। চলতি বাজারের সর্বোচ্চ সীমার নিচে চাহিদার কথা উল্লেখ করলে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

৬. আলোচনা সাপেক্ষে বেতন নির্ধারণ করাও আরেকটি কৌশলী উপায় হতে পারে। যদি পরিস্থিতি এমন হয় যে চাকরিদাতার সঙ্গে আপনি সুবিধা করতে পারছেন না, তবে এটাই সর্বোত্তম পন্থা।

৭. ভবিষ্যৎ দেখার চেষ্টা করুন। চাহিদার কাছাকাছি বেতনের প্রস্তাব পেলে ভেবে দেখুন, বছর শেষেই চাহিদা পূরণ হয়ে যেতে পারে। কাজেই দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হওয়ার চেষ্টা করুন।

৮. মনোযোগ সহকারে প্রশ্নকর্তাদের আলাপচারিতা ও বাচনভঙ্গি পর্যবেক্ষণ করুন। তাড়াহুড়ো করে নিজের মতামত স্পষ্ট করার দরকার নেই। এমনও হতে পারে, প্রশ্নকর্তারাই আপনাকে পথ দেখিয়ে দিচ্ছেন।

৯. অনেকের কাছেই বেতনের বিষয়টি মাথাব্যথার কারণ নয়। এসব ক্ষেত্রে প্রশ্নটি এড়িয়ে যান কিংবা আপনার বিশেষ কোনো চাহিদা নেই বলে জানিয়ে দিন।

১০. নির্দিষ্ট পরিমাণের ফাঁদে আটকে না থাকাই বুদ্ধিমত্তার লক্ষণ। প্রয়োজনে চাকরিদাতার সঙ্গে বেতনের পরিমাণ অনির্ধারিত থাকুক। কারণ, এটা পরেও ঠিক করে নেওয়া যেতে পারে।
বিজনেস ইনসাইডার অবলম্বনে



মন্তব্য চালু নেই