আপনার পূর্বপুরুষের আত্মা কি আপনার ক্ষতি করছে? জেনে নিন রহস্য…
আত্মার অপূর্ণ ইচ্ছা, জীবদ্দশায় পূরণ না-হওয়া অজস্র বাসনা ইত্যাদির কারণেই মানুষ তাকে ভয় পেতে শুরু করে। তার মনে হতে থাকে, অতৃপ্ত আত্মা তার জীবিত স্বজনদের কাছে বহু কিছু দাবি করে।
আদিম সমাজে পূর্বপুরুষ উপাসনা ছিল একটা কমন ব্যাপার। নৃতাত্ত্বিকরা মনে করেন, এই পূর্বপুরুষ উপাসনার মাধ্যমেই দেবতাদের জন্ম হয়েছিল। এই উপাসনার মধ্যে যতটা না ভক্তি নিহিত ছিল, তার চাইতে অনেক বেশি লিপ্র ছিল ভয়। মৃতের আত্মাকে মানুষ আদিকাল থেকেই ভয় পেয়েছে। কিন্তু নিজের পূর্বরুরষের আত্মাকে ভয় পাওয়া কেন? এর উত্তরে এটাই বলা যায়, আত্মার অপূর্ণ ইচ্ছা, জীবদ্দশায় পূরণ না-হওয়া অজস্র বাসনা ইত্যাদির কারণেই মানুষ তাকে ভয় পেতে শুরু করে। তার মনে হতে থাকে, অতৃপ্ত আত্মা তার জীবিত স্বজনদের কাছে বহু কিছু দাবি করে। সেই দাবিগুলি পূরণ না হলে তাঁদের আত্মা পরবর্তী প্রজন্মের প্রতি হিংসাপরায়ণ হয়ে উঠতে পারে। ক্ষতি করতে পারে তাদের।
প্যারানর্মাল বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পূর্বপুরুষের সূক্ষ্ণদেহধারী আত্মা বেশ কিছু ক্ষতিকারক কাজ করতে পারে। তাঁদের মত অনুযায়ী নীচের তালিকাটি নির্মিত হল—
• এই ধরনের আত্মার প্রভাবে বিয়ের সম্বন্ধ বার বার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
• দেখা দিতে পারে অন্তহীন দাম্পত্য কলহ।
• পূর্বপুরুষের আত্মার প্রভাবে উত্তর-প্রজন্মের মানুষ নেশর কলে পড়তে পারেন।
• পরীক্ষার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েও তাতে অকৃতকার্য হওয়া।
• একেবারে অজান্তেই জীবিকা-বিপর্যয়।
• সন্তানধারণে বাধা এবং সন্তান-জন্মে বিঘ্ন।
• বার বার গর্ভপাত।
• মনসিক প্রতিবন্ধী সন্তানের জন্ম।
• অপিরণত অবস্থায় মৃত্যু।
প্যারানর্মাল বিশেষজ্ঞদের মতে, সাত প্রজন্ম ধরে এই প্রভাব বজায় থাকে। তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, নিকটতম কোনও গুরুজনের মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই বিবাহ করা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। হিন্দুদের মধ্যে কালাশৌচের বিধান এই কারণেই প্রচলিত রয়েছে।
পূর্বপুরুষদের এই বক্রী দৃষ্টি এড়ানোর তেমন কোনও প্রতিকারের কথা অতিলৌকিকতাবাদীরা বলেন না। তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী, এর কোনও প্রতিকার হয় না। কেবল শুদ্ধাচার পালন এবং ঈশ্বরচিন্তাই এই কুদৃষ্টিকে রোধ করতে পারে।
মন্তব্য চালু নেই