‘আন্দোলন ঠেকানোর কৌশল’ জগন্নাথের ফটকের একাংশ উধাও
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের একাংশ উধাও। সকালে ক্যাম্পাসে এসে অবাক শিক্ষার্থীরা। হলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনই এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ করছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শিক্ষার্থীরা দেখতে পেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের একাংশ নেই।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের আন্দোলন যেন বানচাল হয়ে যায় এবং আন্দোলনে যাতে বাধা সৃষ্টি হয় সে জন্য প্রশাসন প্রধান ফটক কেটে নিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হল দাবির আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটক তালা দিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে না। শিক্ষার্থীরা যাতে প্রধান ফটক তালা না দিতে পারে সে জন্য রোববার এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও ওই কর্মকর্তার বক্তব্য অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদ। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ ২১ দিন যাবত অবরোধ কর্মসূচি পালন করায় প্রধান ফটক ভেঙে গেছে। তাই প্রধান ফটক মেরামত করার জন্য খুলে নেয়া হয়েছে। মেরামত শেষ হলে আবার লাগানো হবে।’
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ স্থানান্তরের পর ওই জায়গায় জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের জন্য হল নির্মাণের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন চলছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যার দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অনাবাসিক হিসেবেই। তবে প্রতিষ্ঠার পর হলের দাবিতে নানা সময় আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা।
আদালত পাড়া ও সদরঘাট টার্মিনালের পাশে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হলের দাবিতে আন্দোলনে প্রায়ই ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা রাজপথে অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষেও জড়ায় ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু পুরান ঢাকায়। হলের দাবিতে সাম্প্রতিক আন্দোলনের এই ঘটনাটি ঘটেছে।
হলের দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ ও আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্য চালু নেই