আঠারো বছরে অবশ্যই শিখে নিন চার দক্ষতা

আজ যারা তরুণ, একটা সময়ে গিয়ে পৃথিবীর হাল তাদেরই ধরতে হবে। এই হাল ধরতে কিংবা নিজেকে ঠিকঠাক পরিচালিত করতে ১৮ বছর বয়সে কী কী দক্ষতা থাকতে হবে, তা নিয়ে গবেষণা করেছেন জিলিয়ান বেওর। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির কয়েক শ শিক্ষার্থীর ওপর গবেষণা শেষে বেওর জানাচ্ছেন, সবার ভেতরে সমাজকে বদলে দেওয়ার লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তাঁর মতে, সমাজকে বদলে দিতে হলে চারটি দক্ষতা তরুণদের থাকতে হবে। এই চার দক্ষতা নিয়েই আজকের টিপস :
অর্থ ব্যবস্থাপনা
জিলিয়ানের মতে, আঠারোতে পা দেওয়া প্রত্যেকের অর্থনীতি বিষয়ে জ্ঞান থাকা জরুরি। এ জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কিছু বই তাদের আগে থেকেই পড়ে ফেলতে হবে। বিশেষ করে ‘শিক্ষাজীবন ও অর্থ’ সম্পর্কে বাস্তবিক জ্ঞানের অভাব তাদের ভবিষ্যতে অনেক পিছিয়ে রাখবে। টাকা-পয়সার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে তাদের ব্যয়ের বাজেট তৈরি করা শিখতে হবে। ঋণ ও সঞ্চয়ের বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে স্পষ্ট।
সময় ব্যবস্থাপনা
অবশ্যই সময়ের সঠিক ব্যবস্থাপনায় সচেতন হয়ে উঠতে হবে। এ চর্চা চলতে পারে ক্লাসওয়ার্ক ও অ্যাসাইনমেন্ট সময় মতো শেষ করার মানসিকতা তৈরির মাধ্যমে। আত্ম-অনুপ্রেরণায় বলীয়ান হতে হবে। বেওরের মতে, আপনার সফলতা নির্ভর করে আপনার সময় ব্যবস্থাপনার ওপর।
ঝামেলার সমাধান
বয়স ১৮ বছর হলে যেকোনো সমস্যা সমাধান বা তাকে সহনশীল করে নেওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। অনেক শিক্ষার্থী প্রথমবারের মতো তার বন্ধুদের সঙ্গে হয়তো বাইরে থাকবে। তারা হল বা হোস্টেলে উঠবে। নতুনদের সঙ্গে পরিচিত হবে। নতুন পরিবেশ ও মানুষের সঙ্গে নানা সমস্যা সামনে চলে আসবে। এদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার অভ্যাস গড়ে না উঠলে বিপদ যাবে না। ভবিষ্যৎ জীবনটা এমন অসংখ্য সমস্যায় জর্জরিত থাকবে।
ইতিবাচক মানসিকতা
এ বয়সে সবচেয়ে বড় হলো, সব বিষয়ের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখা। জীবনের প্রতি স্বাস্থ্যকর চিন্তা মানুষকে অনেক দূর এগিয়ে নেয়। জীবনে চলার পথে প্রায়ই মানসিক চাপ ভর করবে। অনেক নেতিবাচক বিষয়ের সঙ্গে পরিচয় ঘটবে। এদের মাঝেও ভালো কিছু লুকিয়ে থাকে। সফল হতে তাই দরকার একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি।
–বিজনেস ইনসাইডার অবলম্বনে সাকিব সিকান্দার



মন্তব্য চালু নেই