আটকে যাচ্ছেন সালমান

একের পর অভিযোগে জেরবার হচ্ছেন সালমান খান। আর প্রতিবারই আশার আলো একটু একটু করে ক্ষীণ হচ্ছে তার। আদালতে তার ড্রাইভারের বয়ান মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পর এবার প্রসিকিউশেনর পক্ষ থেকে আরও এক অভিযোগ তোলা হল সাল্লুর বিরুদ্ধে। সরকারি আইনজীবী জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা বয়ান অনুযায়ী, ‘সেইদিন রাতে দুর্ঘটনার পর সালমান কোন রকম মানবিকতার পরিচয় দেননি। আহতদের কোন রকম সাহায্য না করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসেন সালমান।’

২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ফুটপাতে ঘুমন্ত পাঁচ ব্যক্তিকে চাপা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ৪৯ বছর বয়সী এই বলিউড তারকার বিরুদ্ধে। ঘটনায় প্রাণ যায় একজনের। গুরুতর জখম হন বাকী চারজন। ২০০২ সালেই তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। একজনের প্রাণ নাশ ও চারজনকে গুরুতর আহত করার মামলাটি চলছে প্রায় এক যুগ ধরে।

এই মামলায় ইতিমধ্যেই ২৭ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। গত ২৭ শে মার্চ ছিল সালমান খানের কাছে আত্মপক্ষ সমর্থনের অন্তিম সুযোগ। কারণ ফৌজদারি দণ্ডবিধির ধারা ৩১৩ অনুসারে এই ধরনের মামলার শেষ পর্যায়ে অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়। তবে সালমান কোন ভাবে নিজের দোষ স্বীকার করেননি। বরং এইদিন আত্মপক্ষ সমর্থনে ড্রাইভারের এই বয়ানকেই আঁকড়ে ধরেন সালমান খান। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলেন, ‘সেইদিন আমি গাড়ি চালাচ্ছিলাম না। চালাচ্ছিল আমার চালক’।

ইতোমধ্যে মিথ্যা বলে প্রমানিত হয়েছে চালকের বয়ান। সেই মিথ্যা বক্তব্যকে আঁকড়ে ধরে তিনি কতটুকু বাঁচাতে পারবেন নিজেকে, তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে একযুগ পরে এসেও তার নির্দোষ প্রমান হওয়ার সুযোগ নেই বলেই মনে করছেন সরকার পক্ষ।



মন্তব্য চালু নেই