আজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের একটি “কা্লো দিন”
গত বছরের আজকের দিনটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের একটি “কা্লো দিন” বলে আখ্যায়িত।এদিন শিক্ষকদের বাসে ঘৃণিত বোমা হামলায় ১৪ জন আহত হন । বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি হল খুলে দেয়ার দাবিতে চলমান ছাত্র ধর্মঘটের মধ্যে সকালে হাটহাজারী সড়কের ছড়ারকুল এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকবাহী বাসে বোমা হামলার ঘটনায় সারা দেশব্যাপী নিন্দার ঝড় যায়।মহান জাতীয় সংসদেে ঘৃণিত এ বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা হয়।তাৎক্ষণিক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়,সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ,রাবি ছাত্রলীগ ও গনজাগরণ মঞ্চ।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিবির আজীবনের জন্য নিষিদ্ধের দাবি ও সহ কর্মীদের উপর শিবিরের ঘৃন্য হামলার প্রতিবাদে চবি শিক্ষকরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।এছাড়াও গতবছরের ১৩থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য শিক্ষকবাহী বাসে বোমা হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক ফাতেমা-তুজ-জোহরা, প্রাণরসায়ন বিভাগের প্রভাষক সোনাম আক্তার ও সুনন্দা বৈদ্য, ফলিত পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক সাবরিনা আলম, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শিরিন আরা চৌধুরী, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দা হালিমা বেগম, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক রওশন আরা আফরোজ, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুজ্জামান ও অ্যাকাউন্টিং বিভাগের শিক্ষার্থী অমৃতা নাগ মাারাত্নকভাবে আহত হন।
সেদিনের নৃশংস হামলার ব্যাপারে আলাপকালে আজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আলমগীর টিপু বলেন,”শিক্ষকদের উপর যে হামলা চালানো হয়েছিল তা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নজীরবিহীন ও দুঃখজনক।এ ঘটনার মাধ্যমে ছাত্রশিবির প্রমান করে তারা একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।প্রশাসনের নিকট এ ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবী জানাচ্ছি।”
উল্লেখ্য গতবছর ২৪ আগস্ট ক্যাম্পাসে ইসলামী ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকর্মীদের মধ্যে গুলিবিনিময়ের পর সোহরাওয়ার্দী হলে অভিযান চালায় পুলিশ। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হলটি বন্ধ করে দেয়। এর আগে গত ১২ জানুয়ারি শিবির-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় সিলগালা করে দেয়া হয় শাহ আমানত হল। দুটি হলেই শিবিরের আধিপত্য ছিল। এর পর হল খুলে দেয়ার দাবিতে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী’ নামে শিবিরকর্মীরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে ৩১ আগস্ট থেকে লাাগাতার ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল শিবির।
মন্তব্য চালু নেই