আজ কুমিল্লায় যাচ্ছেন বেগম জিয়া
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে গণসংযোগ করতে ২০ দলীয় জোট নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া শনিবার কুমিল্লায় যাচ্ছেন।
সেখানে বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে স্থানী ২০ দলীয় জোট আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি।
সকাল ১০টায় বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর গুলশানের বাসভবন থেকে গাড়িবহর নিয়ে রওনা হবেন। এরপর পল্টন, যাত্রাবাড়ী, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও, দাউদকান্দি হয়ে দুপুরে কুমিল্লায় পৌঁছাবেন তিনি।
কুমিল্লা জেলা সার্কিট হাউজে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেবেন তিনি। পরে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কুমিল্লা শহরের টাউন হল মাঠে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন।
এদিকে দলীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা টাউন হল মাঠে জেলা দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি বেগম রাবেয়া চৌধুরী সভাপতিত্বে দুপুর একটায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ জনসভা শুরু হবে। এতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের স্থানীয়সহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন।
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল হক সাক্কু জানিয়েছেন, মহাসমাবেশে নেত্রীর বক্তব্য শুনতে যাতে জনগণের কষ্ট না হয় সেজন্য নগরীর বিভিন্ন স্থানে ২২৬টি মাইক থাকবে। বড় প্রজেক্টর থাকবে ৬টি স্থানে।
যেসব স্থানে বড় প্রজেক্টর থাকবে সে স্থানগুলো- ঈদগাহ মোড়ে ১টি, পুলিশ লাইন মোড়ে ১টি, রানীর দিঘিরপাড় ১টি, হোটেল সালাউদ্দিন মোড়ে ১টি, রানীর বাজার মোড়ে ১টি ও রাজগঞ্জ মোড়ে ১টি।
ইতোমধ্যেই অর্ধলাখ ব্যানার ফেস্টুন আর সাত শতাধিক তোরণে মুড়ে ফেলা হয়েছে কুমিল্লা জেলাকে।
বিএনপিসহ শরিক দলগুলোর হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় এবং সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতার বিষয়ে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির নেতারা।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার গঠনে বেগম জিয়ার এ সভা সারাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে আন্দোলিত করবে বলে মনে করেন কুমিল্লার নেতাকর্মীরা।
২০০৮ সালে সর্বশেষ কুমিল্লার জনসভায় বক্তব্য দিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এরপর দীর্ঘ ৬ বছর পর কুমিল্লার আসছেন চেয়ারপারসন। এর আগে চট্টগ্রাম ও ফেনী যাওয়ার সময় পথ সভায় বক্তব্য দেন তিনি।
কুমিল্লা জেলা (দক্ষিণ) ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন কায়সার ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু বাংলামেইলকে বলেন, ‘দীর্ঘ সময় পর দলের চেয়ারপারসনের আগমন উপলক্ষে উচ্ছসিত নেতাকর্মীরা। ২৯ নভেম্বরের জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করার অঙ্গীকার নেতাকর্মীদের।’
ব্যানার-ফেস্টুনে মুড়েছে কুমিল্লাকুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক মনিরুল হক সাক্কু বাংলামেইলকে বলেন, ‘কুমিল্লা জেলা বিএনপিতে নানান জটিলতা, ভাঙ্গন আর অনৈক্য থাকলেও দলীয় চেয়ারপারসনের আগমনে সবাই এখন ঐক্যবদ্ধ।’
জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবান করতে বেগম জিয়া কুমিল্লা থেকে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেবেন বলেও প্রত্যাশা করছেন জেলা বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটেরই শীর্ষ এ দুই নেতা।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে অতিদ্রুত নির্বাচনের দাবিতে দলীয় প্রধানের জনসভা সফল করতে ইতোমধ্যে কুমিল্লা সফর করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
মন্তব্য চালু নেই