আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন সুচন্দা

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন সোনালী যুগের অভিনেত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা।‘আনন্দ বিনোদন স্টার এ্যাওয়ার্ড-২০১৫’ অনুষ্ঠানে তাকে এ সম্মাননা দেয়া হবে বলে জানা গেছে। জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে আগামী ৩১ মে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সুচন্দা বলেন, কাজের স্বীকৃতি হচ্ছে সম্মাননা। সারাজীবন চলচ্চিত্রকে ভালবেসেছি এবং মনপ্রাণ এতেই সঁপে দিয়েছি। তার প্রতিদানস্বরূপ সম্মাননা পাচ্ছি, এ ভাললাগা ভাষায় ব্যক্ত করা সম্ভব নয়। আমি খুব আনন্দিত, উদ্বেলিত। আমার মনে হচ্ছে আমি কিছু করতে পেরেছি। তা না হলে মানুষের এত ভালবাসা পেতাম না।

সুচন্দা বলেন, আসলে আমার কিন্তু ভাললাগা জন্ম নিয়েছিল ব্যক্তি জহিরের প্রতি নয়। তার কাজ, তার গুণে আমি ছিলাম মুগ্ধ। তাই তার প্রতিভার প্রতি সম্মান জানাতে গিয়েই তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ি। বাংলার পাশাপাশি সে সময় সুচন্দা বেশ কয়েকটি উর্দু চলচ্চিত্রেও কাজ করেছিলেন। যেমন ‘যাহা বাজে সাহনাই’, ‘পিয়াসা’, ‘হাম এ্যাক হো’ ইত্যাদি। ‘হ্যম এ্যাক হো’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি পাকিস্তান থেকে নিগার এ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। তার নির্মিত একমাত্র চলচ্চিত্র হচ্ছে ‘হাজার বছর ধরে’। এতে প্রধান তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান, রিয়াজ ও শারমীন জোহা শশী। ১৯৬৬ সালে সুভাষ দত্তের ‘কাগজের নৌকা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে সুচন্দার অভিষেক ঘটে।

১৯৬৭ সালে জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন। ১৯৬৮ সালের শেষের দিকে জহির রায়হানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মাননা প্রদান করবেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।মাননীয় মন্ত্রী, শিল্প মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ সরকার। অনুষ্ঠান উদ্ধোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জনাব ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্ঠা। প্রধান আলোচক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকনে আলহাজ মো: হারুন উর রশিদ, সিআইপি, চেয়ারম্যান, এশিয়ান টিভি, কবি শংকর রায়ং, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সহকারী, মীর মো: মোতাহার হাসান, উপদেষ্টা, এটিএন বাংলা, কণা রেজা, সিইও, পানসুপারি, আ স ম ফিরোজ, এমপি, মাননীয় চীফ হুইপ, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ, লিয়াকত আলী খান মুকুল, চেয়ারম্যান, রূপায়ন গ্রুপ, প্রফেসর ড. এম খান মুকুল, সভাপতি, কিডনী এ্যাওয়ানেস মনিটরিং এন্ড প্রিভেনশন সোসাইটি।



মন্তব্য চালু নেই