আজব রীতি : বউ পাল্টাপাল্টি করলে দূর হবে অশুভ শক্তি!
যৌনতা। কারও কাছে পাপ। কারও কাছে পুণ্য। একেক জনজাতির কাছে এর গ্রহণযোগ্যতা একেক রকম। পাল্টে যায় স্থান কাল পাত্র ভেদে। যেটা কোনও সমাজের কাছে পাপ‚ সেটাই অন্য কোথাও পুণ্য। দেখে নেওয়া যাক এই পৃথিবীর কোণায় কোণায় কীভাবে যৌনতা নিয়ে চলে আজব আজব রীতি-রেওয়াজ।
উত্তর আমেরিকা এবং সাইবেরিয়ায় উত্তর মেরুর কাছাকাছি এলাকায় উপজাতিদের মধ্যে প্রচলিত এক আজব রীতি। তারা স্ত্রী পাল্টাপাল্টি করে। বিশ্বাস‚ এর ফলে পরিবার থেকে দূর হয়ে যায় অশুভ শক্তির প্রভাব। এস্কিমোরা আবার রজঃস্বলা নারীকে অপবিত্র মনে করে। তাই রজঃস্বলা নারীর সঙ্গে যে কোনও যৌনতা নিষিদ্ধ।
এ বার মেরু প্রদেশ থেকে সোজা পাড়ি দেওয়া যাক হিমালয়ের পাদদেশে। সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বহু আদিবাসী সম্প্রদায়। তাদের কোনও কোনও উপজাতির মধ্যে আছে বহু স্বামী প্রথা। অর্থাৎ একই স্ত্রীর বহু স্বামী। কারণ এখানে চাষযোগ্য জমি কম। ভাই ভাই বিয়ে করে সংসার পৃথক হলে জমিও ভাগ হয়ে যাবে। তাই সমাধান ? জমি ভাগের বদলে ভাগ করে নাও বউকে।
যৌনতার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে প্রার্থনাও। ইন্দোনেশিয়ায় পালিত হয় পোন উৎসব। তখন উপজাতিরা দল বেঁধে জাভা পাহাড়ে যায়। সেখানে তারা যৌনতায় লিপ্ত হয়। তবে‚ একটাই শর্ত। মিলিত হতে হবে স্বামী স্ত্রী ছাড়া অন্য কারওর সঙ্গে। বছরে সাত বার এই উৎসব হবে। এবং সাতবারই একই পার্টনারের সঙ্গে যৌনসঙ্গম করতে হবে। তাতেই পূর্ণ হবে প্রার্থনা।
আফ্রিকার নাইজারে ওয়াড্ডাবে উপজাতিরা আবার অল্প বয়সে বিয়ে করে। কিন্তু পরে পরিণত বয়সে তারা অন্যের বৌ চুরি করে। এটাই তাদের রীতি। এবং চুরি করে যদি ধরা না পড়ে তাহলে‚ সেই জুটিকে স্বামী স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
প্রাচীন মিশরে বিশ্বাস করা হত‚ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন আতুম। এবং স্রষ্টা আতুমের স্বমেহনের জেরে নিঃসৃত শুক্রাণুতেই নাকি নীল নদের জন্ম। ফ্যারাওরা এটা বিশ্বাস তো করতই। এবং ‚ তারা নিজেরাও ওই কাজ করত নীল নদে। যাত সেখানে জলের যোগান না কমে।
অন্যদিকে ‚ তুরস্ক এবং নিউ গিনির পুরুষরা যৌনাঙ্গে গয়না পরে। কিন্তু পূর্ব আফ্রিকার অনেক জনজাতি আবার মেয়েদের যৌনাঙ্গ সেলাই করে রাখে। যাতে তারা বিয়ের আগে যৌনতা না করতে পারে।
কলম্বিয়ার গুয়াজিরো সম্প্রদায়ের মানুষ আবার অত জটিলতার মধ্যে যায় না। তারা বাজনার সঙ্গে নাচতে থাকে। এবং নাচের মধ্যেই অল্প বয়সী মেয়েরা অল্প বয়সী ছেলেদের পোশাক খুলে দিতে থাকে। রীতি অনুযায়ী‚ যে মেয়ে যে ছেলের পোশাক খুলবে‚ তাদের দুজনের মধ্যে যৌনতা হতেই হবে।
এভাবেই মানব সভ্যতায় রয়েছে যৌনতা। অনেকটা জলের মতো ভাবে। যে সমাজে থাকে‚ সেই সমাজের আকার এবং বর্ণ ধারণ করে।
মন্তব্য চালু নেই