আজও এই রহস্যময় গ্রামে প্রচলিত রয়েছে কালো যাদু
বলা হয় যে কালো জাদুতে পুতুলের ওপর সূচ ফুটিয়ে যে কোনও মানুষকে কষ্ট দেওয়া যায়। তাকে ইচ্ছামতো যে কোনও কাজ করানো যায়। কালো জাদুর সাহয্যে শয়তানী শক্তিও লাভ করা যায়। সেজন্য এখনোও কালো জাদুর নাম এলেই প্রথমেই সামনে আসে লেবু, মরিচ, সূঁচ, এবং পুতুলের ছবি।
ভারতে বহু বছর ধরে কালো জাদুর প্রচলন চলে আসছে। এখানে এমন একটি গ্রাম রয়েছে যাকে কালো জাদুর ভিত বলা হয়। এখনো এই গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়িতে কালু জাদু করা হয়। মনে করা হয় বিশ্বে কালো জাদুর আরম্ভ এখান থেকে হয়েছিল। স্হানটি হলো আসামের মায়োঙ্গে। বর্তমানে এটি জনপ্রিয় পর্যটন স্হান।
স্থানীয়দের মতে সংস্কৃত শব্দ মায়া থেকে এই নামটি এসেছে। যার অর্থ বিভ্রম। স্হানটির নাম নিয়ে বহু কাহিনী প্রচলিত আছে। বহু লোক দাবি করেন স্হানটি মা-এর-অঙ্গ দেবীর অংশ। যার থেকে এই নামটি এসেছে।
এই স্থানের ইতিহাস সম্পর্কে বেশি কেউ জানেন না। কিন্তু এই স্হানের গল্প বহু বছর ধরে স্থানীয় লোকাচারবিদ্যার অংশ। আসল ব্যাপারটি হলো কেউ জানে না কিভাবে এখানে এই জাদু এসেছে। বা কিভাবে এটা এতো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আমাদের পৌরাণিক কাহিনীর মত, শিল্প ও কালো জাদু নৈপুণ্য বহু প্রজন্ম ধরে এখানে চলে আসছে।
গ্রামটি গুয়াহাটি থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে পবিত্র অভয়ারণ্যের কাছাকাছি অবস্হিত রয়েছে। স্হানটি মায়োঙ্গ কেন্দ্রীয় জাদুঘর নামে পরিচিত। যেখানে অনেক পুরানো কালো জাদু এর সাথে সম্পর্কিত ধ্বংসাবশেষ রাখা রয়েছে। এখান থেকে অনেক পুরানো ধর্মগ্রন্থ পাওয়া গেছে। যেখানে স্হানটির কালো জাদু সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে।
এই এলাকায় কালো জাদু চিকিত্সার দ্বারা জনগণের সেবা করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এখানের লোকেদের কালো জাদু সম্পর্কে শুধুমাত্র জ্ঞান রয়েছে। তাই নয় তার সাথে আয়ুর্বেদ সম্পর্কে তাদের জ্ঞান রয়েছে। হস্তরেখাবিদ্যা থেকে ব্যথা আরোগ্যকরণ সবকিছু তারা করতে সক্ষম। কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনার পিঠের ব্যাথা কমিয়ে দেবে, তামার প্লেট পেছনে রেখে কয়েকটা মন্ত্র পাঠ করেই।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো যে যতটা মনোযোগ এই গ্রামের পাওয়া উচিত, সেটা তারা পাচ্ছে না। তহবিল ও সুযোগের অভাবে এই শিল্প ধীরে ধীরে তার জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই