আঙুলের ছাপ, পরিচয়পত্র কোনো কিছুরই প্রয়োজন নেই : টাকা দিলেই মিলছে সিম
আঙুলের ছাপ, জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি—কোনো কিছুরই প্রয়োজন নেই। টাকা দিলেই মাগুরায় মিলছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত সিম।
৪ জুন মাগুরা শহরের এম আর রোড (সাবেক কলেজ রোড) ও সৈয়দ আতর আলী সড়কে মুঠোফোনের সিম বিক্রির আটটি দোকানে ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়। দোকানিরা ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বিনিময়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা সিম বিক্রি করছেন। ওই দিন এম আর রোডের একটি দোকান থেকে ২৫০ টাকার টাকায় এ প্রতিনিধিও একটি সিম কেনেন। মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে আরও দুজনকে এ দোকান থেকে সিম কিনতে দেখা যায়। এ ছাড়া পাশে মুঠোফোন সেবাদানকারী একটি অপারেটরের অনুমোদিত দোকানেও নিবন্ধিত সিম বিক্রি করতে দেখা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শহরের এম আর রোডের একজন সিম বিক্রেতা বলেন, বায়োমেট্রিক করা কয়েক শ সিম তাঁদের সংগ্রহে আছে। যাঁরা বায়োমেট্রিক করেননি কিংবা বায়োমেট্রিকের ঝামেলা এড়াতে চান, তাঁরা এসে এসব সিম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুঠোফোন সেবাদানকারী বিভিন্ন অপারেটরের অনুমোদিত বিক্রয় কেন্দ্র ও সড়কের পাশে অস্থায়ীভাবে খোলা নিবন্ধন বুথে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনর্নিবন্ধনের সময় অধিকাংশ গ্রাহকের কাছ থেকে কৌশলে একাধিক আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপই মুখ্য। তাই পরে ওই আঙুলের ছাপ দিয়ে গ্রাহকের অজান্তে নতুন নতুন সিম নিবন্ধন করা হয়েছে। যা এখন বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।
শহরের কাউন্সিলপাড়ার আবদুর রাজ্জাক নামের একজন গ্রাহক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা বৈধ গ্রাহক হয়েও সরকারের নির্দেশে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে কষ্ট করে নতুন পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করলাম। জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ছবি ও আঙুলের ছাপ দিলাম। অথচ এখন টাকা দিলেই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত সিম পাওয়া যাচ্ছে।’
শহরের কলেজপাড়ার মো. রেজোয়ান সায়েদীন বলেন, ‘আমার আঙুলের ছাপ দিয়ে করা সিম যদি বাজার থেকে কিনে কেউ অপরাধ করেন, তাহলে আমি কী করব?’
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দেশে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনর্নিবন্ধিত না হওয়া সিম ১ জুন থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। -প্রথম আলো
মন্তব্য চালু নেই