আগুনে পুড়ে এক গৃহবধুর মৃত্যু : হত্যা না আত্মহত্যা?

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় আগুনে পুড়ে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন চলছে। এলাকাবাসী হত্যা’র অভিযোগ তুললেও পুলিশ বলছে এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা। স্ত্রী অন্যের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলাকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে বাক-বিতন্ডতায় অভিমানে ঘরের দরজা বন্ধ করে শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ওই গৃহবধূ। গৃহবধুর নাম মঞ্জিলা খাতুন (১৯)।

ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ৫ নং পুটিয়া ইউপি’র চড়ার হাট সারাইপাড়া এলাকায়।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বৃহস্পতিবার রাতে বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে স্বামী মঞ্জুরুল দেখে স্ত্রী অন্যের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলছে। এ নিয়ে স্বামী মঞ্জুরুল তার স্ত্রী মঞ্জিলাকে গালাগাল দেয়। উভয়ের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়।

রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টায় স্বামী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হলে স্ত্রী মঞ্জিলা ঘরের দরজা বন্ধ করে শরীরে আগুল গালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ সময় স্বামী মঞ্জুরুল ঘটনা টের পেয়ে ঘরের দরজা লাথিয়ে ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে মঞ্জিলাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার ভোরে মৃত্যু হয় মঞ্জিলার।

মঞ্জিলার মৃত্যুর খবর ছাড়য়ে পড়লে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয় তাকে আগুরে পুড়িয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী।



মন্তব্য চালু নেই