আইসিসিকে পরম বন্ধু হিসেবে কাছে পেয়েছে পাকিস্তান
বিপদেই মেলে যে কে কার বন্ধু। পাকিস্তানে ফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর ব্যাপারে তাদের পাশে দাঁড়ালো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার জন্য পাকিস্তানে বিশ্ব একাদশ পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছে আইসিসি।
পাকিস্তান সুপার লীগের (পিএসএল) দ্বিতীয় আসরের ফাইনাল লাহোরে সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের পর তাদের এই মনোভাব। নিরাপত্তার সব শঙ্কা উড়িয়ে এবার পিএসএলের ফাইনাল হয়েছে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।
অনেক বিদেশি খেলোয়াড় সেখানে যাননি নিরাপত্তার শঙ্কায়। তবে ১১ জন বিদেশি খেলোয়াড় ফাইনালের জন্য লাহোরে যায়। মাঠে দর্শকদের উপস্থিতি ছিল নজরে পড়ার মতো। কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় পিএসএলের ফাইনাল। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের বহনকারী বাসের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের মাটিতে বড় খেলোয়াড়দের প্রথম উপস্থিতি ছিল এটা। অবশ্য ২০১৫ সালে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলে জিম্বাবুয়ে।
সেই সিরিজেও কোনো অসুবিধা হয়নি। তবুও শীর্ষ কোনো দেশ পাকিস্তানে সফরের সাহস পাচ্ছে না। পিএসএলের ফাইনালের পরের দিন পাকিস্তানের ক্রিকেট ভক্তরা পেলো সুসংবাদ। আইসিসি পাকিস্তানের টাস্ক ফোর্সের প্রধান জাইলস ক্লার্ক বলেন, ‘পাকিস্তানি দর্শকদের বিশ্বের শীর্ষ খেলোয়াড়দের সরাসরি দেখার প্রত্যাশা পূরণের সুযোগ দিতে চাই।’ জঙ্গিবাদের কাছে ক্রিকেট হারতে পারে না বলে মনে করেন জাইলস।
বলেন, ‘বিশ্ব ক্রিকেটের উচিত পাকিস্তানকে সহযোগিতা করা। যারা দেশের বাইরে ‘হোম সিরিজ’ খেলছে। একটি জাতীয় দলের হোম সিরিজ নিজেদের মাঠেই খেলা উচিত। মোট কথা, সন্ত্রাসবাদ কখনো জিততে পারে না। পাকিস্তানে ক্রিকেট বন্ধ হতে পারে না।’
বিশ্ব একাদশে কে কে খেলবে সেটা এখনো নিশ্চিত হয়নি। ১৭ই সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে বিশ্ব একাদশ গঠন করবে আইসিসি। তাদের পাকিস্তানে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার সম্ভাব্য তারিখ ২২, ২৩, ২৯ ও ২৯শে সেপ্টেম্বর।
মন্তব্য চালু নেই