আইপিএলে জ্বলে উঠেই হারিয়ে গিয়েছেন এই তারকারা
একসময়ে তো তাঁদের ব্যাট গর্জে উঠত। কথা বলত বল। সময়ের নিয়মে তাঁরা হারিয়ে গেলেন আইপিএলের আকাশ থেকে।
এগিয়ে আসছে এ বারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। প্রকাশিত হয়েছে আইপিএলের থিম সং। চায়ের পেয়ালায় উঠছে ঝড়। কে জিতবে এ বারের আইপিএল? তা নিয়ে চলছে নিরন্তর আলোচনা। এ বার কোন তারার উদয় হবে, সেই দিকেও নজর ক্রিকেটপাগলদের।
দশ বছরে পা দিতে চলেছে আইপিএল। এই দশ বছরে অনেক তারকাকেই জ্বলে উঠতে দেখেছে ক্রিকেটবিশ্ব। অনেকেই আবার হারিয়ে গিয়েছেন। ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি তাঁরা। অথচ এঁরাই একসময়ে একার হাতে ম্যাচ জিতিয়েছেন। দেখে নেওয়া যাক সেই সব হারিয়ে যাওয়া তারকাদের।
সৌরভ তিওয়ারি- বর্তমানে বিজয় হাজারে ট্রফি খেলার জন্য কলকাতায় রয়েছেন। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ম্যাচ জেতাচ্ছেন। একসময়ে তাঁকে ধোনির সঙ্গে তুলনা করা হত। ধোনির মতোই লম্বা চুল রাখতেন। ২০১০-এর আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে নজর কেড়েছিলেন সৌরভ। ১৬ টি ম্যাচে তাঁর রান ছিল ৪১৯। স্ট্রাইক রেট ১৩৫-র বেশি। এর পরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর তাঁকে কিনলেও নজর কাড়তে পারেননি এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান।
মনপ্রীত গোনি- চেন্নাই সুপার কিংগসের এই পেসার এক সময়ে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির হাতের তাস ছিলেন। ২০০৮ আইপিএলে অভিষিক্ত পঞ্জাবের এই পেসার সেবার ১৭টি উইকেট নিয়েছিলেন। তার পর থেকে তিনি আর কিছু করে উঠতে পারেননি।
শ্রীনাথ অরবিন্দ- ২০১১-র আইপিএলে কর্নাটকের বাঁ হাতি এই মিডিয়াম পেসারকে নিয়ে খুব হইচই হয়েছিল। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে সেবার ১৩টি ম্যাচে ২১টি উইকেট নিয়েছিলেন। পরের বার সুযোগ পেলেও সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি অরবিন্দ।
স্বপ্নিল আসনোদকর- শেন ওয়ার্নের কাছ থেকে পেয়েছিলেন ‘গোয়ার কামান’নাম। প্রথম আইপিএলে গোয়ার এই ব্যাটসম্যানের ব্যাট হয়ে উঠেছিল কামান। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলা স্বপ্নিল ৯টি ম্যাচে ৩১১ রান করেছিলেন।
পল ভ্যালথ্যাটি- ২০১১-র আইপিএলে মহারাষ্ট্রের এই ব্যাটসম্যান রাতারাতি হিরো হয়ে উঠেছিলেন। ১৪টি ম্যাচে তাঁর রান ছিল ৪৬৩। এর মধ্যে একটি সেঞ্চুরি করে নজর কেড়েছিলেন ভ্যালথ্যাটি। আইপিএলে জ্বলে উঠেই হারিয়ে গিয়েছেন এই তারকারা।
মন্তব্য চালু নেই