তহবিল সংকট

আইএইচটি শিক্ষার্থীদের অধ্যক্ষের কার্যালয় ঘেরাও

রাজশাহী: তহবিল সংকট দেখা দেয়ায় রাজশাহীর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলির (আইএইচটি) বিএসসি ইন ফিজিওথেরাপি কোর্সটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে ওই ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যেই বিএসসির সকল দৈনিক রুটিন ক্লাশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এরই প্রতিবাদে অধ্যক্ষের কার্যালয় ঘেরাও করে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সদ্য বিদায়ী অধ্যক্ষ ডা. গাজিউল আলম, শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি’র কোটি টাকা নিয়ম বহির্ভুতভাবে অন্য খাতে খরচ করে। যার ফলে কোর্সটি পরিচালনার জন্য তহবিল সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে বিএসসির দৈনিক রুটিন ক্লাশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা আরো অভিযোগ করে, বিএসসি ইন ফিজিওথেরাপি একটি প্রোফেশনাল কোর্স, এই কোর্সটির ৪ বছরে মোট ৪৭টি বিষয় এবং ৬ হাজার ২০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়। বিএসসির বর্তমানে পাঁচটি ব্যাচের মধ্যে প্রথম ব্যাচ কিছুদিনের মধ্যে শেষ হবে। আর বাকি চারটি ব্যাচ সম্পুর্ণ হতে ২০১৮ সাল লাগবে। এর জন্য টাকা প্রয়োজন প্রায় ৭২ লাখ টাকা। তবে, বর্তমানে তহবিলে আছে মাত্র ১২ লাখ টাকা। তাই কোর্সের বিষয় ও নম্বর কমিয়ে কোর্সটিকে ছোট করে চালানোর চেষ্টা করতে কর্তৃপক্ষ।

নতুন কারিকুলাম চালু হলে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে ভোগান্তির শিকার হবে। কারণ উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সকল শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে পড়াশোনা করবে তাদের কারিকুলাম আর আমাদের কারিকুলাম আলাদা হবে। যদি কারিকুলাম পরিবর্তন করতে হয় তাহলে সারাদেশে এক হোক এটাই শিক্ষার্থীদের দাবি।

এ ব্যবপারে বর্তমান অধ্যক্ষ এ বি এম মনসুর রহমান বলেন, বর্তমানে যে ফান্ড আছে তা দিয়ে বিএসসির কোর্স চালানো সম্ভব না। এ বিষয়ে আমি মন্ত্রণালয়ে চিটি দিয়েছি তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, কারিকুলামে কিছু সমস্যা ছিলো সেটা সংশোধনের চেষ্টা করছি। তবে কেউ চেষ্টা করছে কারিকুলামকে ছোট করার জন্য আমি তা করতে দিবোনা। আমি যা করবো তা অবশ্যই শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্য।

কারিকুলাম পরিবর্তনে কি মন্ত্রণালয়ের আদেশ আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ বলেন, না, আমরা চেষ্টা করছি সারাদেশে একই কারিকুলামে ফিজিওথেরাপি কোর্সটি পরিচালিত হোক। এটা করে আমরা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠাবো। কিন্তু আমরা মিটিং করার সময় শিক্ষার্থীরা চলে আসায় মিটিং বন্ধ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ফ্যাকাল্টির ডীন ডা. আবু রায়হান বলেন, এটা আমার বিষয় না এটা মন্ত্রণালয়ের বিষয় আমি কারিকুলাম পরিবর্তন করার জন্য আদেশ দেয়নি।

অপর দিকে শিক্ষার্থীরা দাবি জানায়, বর্তমানে যে কারিকুলামে লেখাপড়া চলছে তা অপরিবর্তিত থাকার।



মন্তব্য চালু নেই