‘অ্যায় দিল…’-এ পর্দায় রণবীর-অনুষ্কার চুমুর বন্যা, অবিশ্বাস্য প্রতিক্রিয়া বিরাটের
কর্ণ জোহরের সাম্প্রতিকতম ছবি ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ নানা কারণেই আলোচনার বৃত্তে এসেছে। আলোচনার একটি কারণ অবশ্যই ছবিতে রণবীর আর অনুষ্কার চুম্বন দৃশ্য। ছবির একেবারে শুরুর দিকেই বেশ নিবিড়ভাবে চুমু খেতে দেখা গিয়েছে রণবীর আর অনুষ্কাকে। ফিল্মে আরও কয়েকবার ঘনিষ্ঠ হয়েছেন দু’জনে। বেশ লেগেছে দু’জনের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি। ব্যাপারটা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে নানা মহলে। কিন্তু এই মুহূর্তে লাখ টাকার প্রশ্ন হল, রণবীর-অনুষ্কার এই অন স্ক্রিন লিপ কিসের ব্যাপারটাকে কীভাবে নিয়েছেন, খোদ বিরাট কোহালি? তাঁর প্রতিক্রিয়া এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ শোনা যায়, তিনিই নাকি অনুষ্কার বর্তমান প্রেমিক।
অভিনয়ের সূত্রে সহ-অভিনেতার সঙ্গে ক্যামেরার সামনে অনুষ্কার ঘনিষ্ঠতা অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও ‘বম্বে ভেলভেট’ কিংবা ‘এন এইচ টেন’-এর মতো ছবিতে চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন অনুষ্কা শর্মা। তিনি এই ধরনের দৃশ্যে অভিনয়ের ব্যাপারে পুরোদস্তুর পেশাদার মানসিকতা সম্পন্ন। কিন্তু একজন অভিনেতা পেশাদার মানসিকতার হলেই যে তাঁর আত্মীয়-পরিজন বা বন্ধুবান্ধবরাও একই মানসিকতা সম্পন্ন হবেন এমন তো কোনও কথা নেই। ‘অ্যায় দিল…’-এই ঐশ্বর্যার সঙ্গে রণবীরের ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নিয়ে গৃহবিবাদ লেগে গিয়েছিল বচ্চন পরিবারে। শোনা গিয়েছিল, এইসব দৃশ্যের কারণে যথেষ্ট ক্ষুণ্ণ হয়েছেন ঐশ্বর্যার শ্বশুর এবং স্বামী, অর্থাৎ অমিতাভ আর অভিষেক। রণবীর-অনুষ্কা চুম্বন নিয়েও কি তেমনই ক্ষুণ্ণ হলেন বিরাট?
এমনিতে এই বিষয়ে বিরাটের ট্র্যাক রেকর্ড ভাল। অনুষ্কার ব্যাপারে বাহ্যত তাঁকে একস্ট্রা পজেসিভ হতে দেখা যায়নি কখনওই। ইতিপূর্বে ‘এন এইচ টেন’-এ অনুষ্কার অভিনয় দেখে উচ্ছ্বসিত বিরাট টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন অনুষ্কাকে। অথচ সেই ছবিতে বেশ ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়েছিল অনুষ্কাকে। বোঝা গিয়েছিল, ব্যাপারটাকে বড় করে দেখতে রাজি নন বিরাট।
‘অ্যায় দিল…’ এখনও বিরাট দেখেছেন কি না, জানা যায়নি। এই বিষয়ে তিনি প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়াও জানাননি কিছু। কিন্তু সারা দেশব্যাপী যা আলোড়ন চলছে অনুষ্কা-রণবীরের চুমু নিয়ে, তাতে বিষয়টি বিরাটের কানে পৌঁছয়নি, এমনটা তো হতে পারে না। কিন্তু বিষয়টিকে কীভাবে নিয়েছেন তিনি? ব্যাপার-স্যাপার যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে কিন্তু মনে হচ্ছে, রণবীর-অনুষ্কার চুমু নিয়ে আদৌ ভাবিত নন ভারতের টেস্ট টিমের ক্যাপ্টেন। নিজের জন্মদিনে রাজকোটে অনুষ্কার হাত ধরে ঘুরতে দেখা গিয়েছে বিরাটকে। বোঝাই যাচ্ছে, পর্দায় অনুষ্কা যা-ই করুন না কেন, তাতে চিড় খায়নি বিরাট-অনুষ্কার সম্পর্ক।
আসলে ভারতীয় ক্রিকেট ক্যাপ্টেনকে যথেষ্ট পেশাদার মনোভাবের মানুষ বলেই মনে হয়। তিনি জানেন, রিয়েল লাইফ আর রিল লাইফের মধ্যে তফাৎ রয়েছে। আর একজন অভিনেতাকে নিজের পেশার দায়ে অনেক কিছুই করতে হয়, সেগুলোকে তো তাঁর সত্যিকারের আবেগ বলে মনে করা যায় না। কাজেই এতে রাগ করারও কিছুই নেই। এই বোধ বিরাটের রয়েছে বলেই মনে হয়। এই জায়গায় তিনি অভিষেক বচ্চনের চেয়ে অনেক পরিণত— এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কাজেই সরাসরি প্রতিক্রিয়া না দিলেও, অনুষ্কার সঙ্গে বিরাটের হাত ধরে ঘোরার ছবি চুমু প্রসঙ্গে বিরাটের পরোক্ষ প্রতিক্রিয়া হিসেবে কাজ করছে।
মন্তব্য চালু নেই