অ্যাংকরের সর্বাধিক বায়ুমণ্ডলীয় মন্দির !

অ্যাংকর শুধু এশিয়ার নয়, সমগ্র বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট। এটি কম্বোডিয়ার একটি বন এলাকার ২৪৯ বর্গমাইল বা ৪০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। প্রাচীন খেমের সাম্রাজ্যে প্রায় ছয় শতাব্দী ধরে অ্যাংকর প্রত্নতাত্ত্বিক পার্ক মন্দির রাজধানী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নবম শতকে এটি তৈরি করা হয়েছিল।

অ্যাংকর ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট এর সবচেয়ে বিখ্যাত মন্দির। তবে, বিখ্যাতের দিক থেকে শুধু এই মন্দির একা নয়। অ্যাংকর ওয়াট সিএম রিপের উত্তর দিকে অবস্থিত। কম্বোডিয়ার সবচেয়ে স্বীকৃত ল্যান্ডমার্ক এবং খেমের বৃহত্তম ধ্বংসাবশেষ এই অঞ্চলে অবস্থিত। ১১০০ সালের প্রথম দিকে রাজা সূর্যবর্মণ-২ এই মন্দির তৈরি করেন। মন্দিরটি বিষ্ণুদেবের জন্য নিবেদিত ছিল। বেশীরভাগ পর্যটক এখানে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের সময় আসে। কারণ, তখন এর চারপাশে আরও স্নিগ্ধতা বৃদ্ধি পায়।

এখানে, প্রায় ২১৬টি হেঁয়ালিপূর্ণ বায়ন পাথর রয়েছে। দ্বাদশ শতাব্দী থেকে এখানে একটি বৌদ্ধ মন্দির স্থাপন করা হয়। এর পশ্চিমে একটি বৃহত্তম অ্যাংকর মিনার রয়েছে। অ্যাংকর থম মানে হল “মহান নগরী” এবং এর জনসংখ্যার এক মিলিয়ন মানুষ শীর্ষে আছে, বলে ধারণা করা হত। এছাড়াও এখানে কুষ্ঠরোগীদের রাজার সোপান এবং এলিফ্যান্ট চত্বরের কিছু ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়।

অ্যাংকরে তিনটি প্রাচীন মন্দির বিদ্যামান। এদের মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন মন্দির গাছ দিয়ে ঘেরা। মন্দিরটির স্থাপত্য ও শৈলী সকলের নজর কেড়ে নেয়। তিনটি মন্দিরই পর্যটকদের প্রধান পছন্দের স্থান। সবচেয়ে প্রাচীন মন্দিরটি নবম শতাব্দীতে তৈরি করা হয়।

শত শত বছর আগে পরিত্যক্ত হওয়া অ্যাংকরের শ্রেষ্ঠ মন্দির হল প্রহম। এটি শত বছর আগে ডুমুরের দ্বারা পরিত্যক্ত হয়ে যায়। মনুষ্যসৃষ্টির আর্কিটেকচার এবং প্রকৃতির অদ্ভুত মিশ্রণে একে আরও বেশি জনপ্রিয় করে তোলে। এর বাহ্যিক সৌন্দর্য এখনও মানুষকে আকৃষ্ট করে তোলে। ২০০১ সালের একটি ভারতীয় ছবিতে এই মন্দিরের চিত্রায়ন করা হয়।

সূত্র: ভায়াটোর।



মন্তব্য চালু নেই