ছাত্রলীগ নেতা রনির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র : সহজে মিলছে না মুক্তি
কারাগারে বন্দি চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রনির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলার চাজশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম চতুর্থ বিচারিক হাকিম শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করা হয়েছে।
আদালত অভিযোগপত্র সিন করে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। ফলে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও সহজে মুক্তি মেলছে না আলোচিত এ ছাত্র নেতার।
এ ব্যাপারে রনির আইনজীবী এ্যাডভোকেট রনি কুমার দে সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু জামিন আদেশ আসার আগেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে, সেক্ষেত্রে আপাতত রনির মুক্ত হবার সুযোগ নেই। তাকে আবারও জামিনের আবেদন করতে হবে।
চট্টগ্রাম আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মশিউর রহমান বলেন, চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় অস্ত্র আইনে মামলায় মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রণির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। অভিযোগপত্রে ২২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ মে বেলা সোয়া ১২টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলাকালে হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর একটি ভোট কেন্দ্রে ফোরাফেরা করার সময় নগর ছাত্রলীগের প্রভাবশালী এ নেতাকে আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুনুর রশিদ। পরে তার দেহ তল্লাশি করে একটি নাইন এম এম পিস্তল, ১৫ রাউন্ড গুলি ও ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রথমে বিজিবির সদস্যরা তাকে আটক করলেও পরে হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পরে ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী বিধিমালার দুটি ধারায় এক বছর করে মোট দুই বছর কারাদণ্ড দেন। ঐদিন রাতে পুলিশ বাদী হয়ে রনির বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে। পরদিন সকালে তাকে সরাসরি কারাগারে পাঠানো হয়।
নূরুল আজম রনি রাজনীতিতে চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী।
সম্প্রতি রনির নেতৃত্বে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ও পার্শ্ববর্তী মহসীন কলেজ পুলিশের সহযোগিতায় জামায়াত শিবিরের কাছ থেকে ছাত্রলীগ দখল করে নেওয়ার পর থেকে নূরুল আজিম রনি আলোচিত হয়ে ওঠেন। গ্রেফতারের দুই দিন পর থেকে রনি হার্টের অসুস্থতায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মন্তব্য চালু নেই