অস্ট্রেলিয়াতেও উচ্ছৃংখল ছিলেন শাহাদাত!
বাংলাদেশে ক্রিকেট অঙ্গণে তোলপাড়। কারণ, ১১ বছরের গৃহকর্মী পেটানোর দায়ে পেসার শাহাদাত হোসেনকে এখন হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ। শাহাদাত ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলাও হয়ে গেছে।
তবে, দিন যত যাচ্ছে তত নানা রকম চাঞ্চল্যকর তথ্য চলে আসছে সামনে। এবার জানা গেল, অস্ত্রোপচারে অস্ট্রেলিয়া গেলে সেখানেও উচ্ছৃংখল আচরণ প্রকাশ করেছেন তিনি। আর সেটা এতোটাই যে, তার উপর ক্ষেপে গিয়েছিলেন ডেভিড ইয়ংয়ের মত ডাক্তার। এমনটা জানিয়েছে দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ।
শাহাদাতের হাঁটুর চিকিৎসা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ১৫ লাখ টাকা খরচ করে মেলবোর্নের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডেভিড ইয়াংকে দিয়ে তার হাঁটুর চিকিৎসা করায়। অস্ট্রেলিয়ায় হাঁটুর অস্ত্রোপচার করাতে গিয়েও কম কেলেঙ্কারি করেননি জাতীয় দলের এ পেসার।
বিসিবির বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে, মেলবোর্নে থেকেও দুইবার চিকিৎসকের তারিখ ফেল করেন শাহাদাত। প্রচন্ড ব্যস্ত চিকিৎসক ইয়ংয়ের ফোন পর্যন্ত ধরেননি তিনি। শেষে ঢাকায় মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন ইয়াং। মাশরাফিকে তিনি জানান, পরের তারিখ ফেল করলে শাহাদাতের হাঁটুর অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হবে না। মাশরাফি ঢাকা থেকে যোগাযোগ করে তৃতীয় তারিখে ইয়াংয়ের চেম্বারে পাঠান শাহাদাতকে।
চিকিৎসা শেষ করে ঢাকায় ফিরে আসার কথা শাহাদাতের। বিসিবি সেভাবে বিমানের টিকিট করে দেয়। কিন্তু নির্ধারিত তারিখের দুই দিন চলে গেলেও শাহাদাত ঢাকা ফেরেননি। বিসিবি থেকে শাহাদাতের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারে, দেশে ফেরার তারিখ ভুলে গেছেন তিনি!
বিসিবি বাড়তি টাকা দিয়ে তার দেশে ফেরার টিকিট হালনাগাদ করে দেয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাহাদাতের চিকিৎসার জন্য বিসিবির যে বাজেট ছিল, তার থেকেও বেশি খরচ হয়েছে। বিসিবিকে সমন্বয় এবং সহযোগিতা না করায় তার ভিসা পেতেও বিলম্ব হয়েছে বলেন সংশ্লিষ্টরা। অথচ শাহাদাতকে নিয়মিতই বিসিবির বিরুদ্ধে এ নিয়ে অভিযোগ করতে দেখা যেত।
চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে নিয়মমতো পুনর্বাসন করার কথা থাকলেও সাহাদাত তা করেননি বলে জানান বিসিবি ফিজিও এবং ট্রেনাররা। শাহাদাতের ওপর তারা খুব বিরক্ত ছিলেন। নাম গোপন রাখার শর্তে একজন ট্রেনার বলেন, ‘বিসিবির চাকরি করি দেখে তাকে ট্রেনিং করাতে বাধ্য হই। সে যা করে তা সহ্য করার মতো নয়।’
মন্তব্য চালু নেই