অশ্লীলতার দায় নিয়েই চলছে ‘ডার্টি পলিটিক্স’! (ভিডিও)

সিনেমা মুক্তির আগেই কোনো না কোনোভাবে বিতর্ক তোলে দেয়া যেনো একটা রীতিসিদ্ধ কম্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে বলিউডে। যদিও এটাকে অনেকেই সিনেমা সম্পর্কে দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণের কৌশল হিসেবেই দেখছেন।

‘ডার্টি পলিটিক্স’ তেমনি তালিকাভুক্ত একটি সিনেমা; যা মুক্তির আগেই নানা কারণে বলিউডে আলোচনা-সমালোচনার শীর্ষে ছিলো।রাজনৈতিকভাবে এখানে কেউ সহনশীল না হওয়ার ফলে উপমহাদেশের সিনেমা জগতে রাজনীতি কিংবা রাজনৈতিকদের নিয়ে খুব একটা সিনেমা হয়না। তাছাড়া সেন্সর প্রথার বেড়াজাল, রাজনৈতিক তোপ এইসবও একটা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়।

তবুও নানা প্রতিবন্ধকতা, বিতর্ক আর নাটকীয়তা উপেক্ষা করে ৬মার্চ বলিউডের সিনেমায় মুক্তি পেলো গতো বছর আলোচনার শীর্ষে থাকা কেসি বোকাডিয়া পরিচালিত সিনেমা ‘ডার্টি পলিটিক্স’।

রাজনৈতিক ড্রামা ও একটি রহস্যময় খুনের মিশ্রণে গড়ে উঠেছে এই সিনেমার কাহিনি।যদিও মুক্তি দেয়ার পর পরই অশ্লীলতার দায়ে ভারতের একাধিক সিনেমায় ডার্টি পলিটিক্সকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।সিদ্ধান্ত নিতে পাটনার হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে, নিষেদাজ্ঞা জারি হয়েছে বিহারের বিহারের হলগুলিতেও। নিষিদ্ধের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে মল্লিকা শেরওয়াত ও ওমপুরির কিছু আপত্তিকর দৃশ্যর কথা।

পুরো সিনেমায় মল্লিকা শেরওয়াত অনবদ্য অভিনয় করলেও দর্শকদের মন কাড়তে পারেনি ওম পুরি, নাসিরউদ্দিন শাহ ও অনুপম খেরের মত তারকারা। তাদের এমন সিনেমায় অভিনয় করাটাকে অনেকেই ভালো চোখে নেয়নি।

ডার্টি পলিটিক্সে দেখা যায়, আনোখি দেবী (মল্লিকা শেরাওয়াত) একজন নামকরা ডান্সার। আনোখি রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভের আশায় দীনা নাথ (ওম পুরি) এর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যান। তবে দীনা নাথ নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেন না। আর তখন আনোখি দীনা নাথকে হুমকি দিতে থাকেন এই বলে দীনা নাথের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত ও আপত্তিকর ছবি ও ভিডিওর সিডি সে প্রকাশ করে দেবে। সিডি ছড়িয়ে গেলে দীনা নাথের ক্যারিয়ার একেবারেই শেষ হয়ে যাবে। এরকম সময়ে হঠাৎ করেই দীনা নাথ গায়েব হয়ে যান এবং গায়েব হওয়ার তদন্ত শুরু করে সিবিআই।

এখন দেখার বিষয়, আলোচনা-সমালোচনাকে কতোটা কচুকাটা করে বক্স অফিসে সাফল্য বয়ে আনতে পারে এই ডার্টি পলিটিক্স!

https://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=qIZ4h_IIwDo



মন্তব্য চালু নেই