অমিত সাহাকে নিয়ে উল্লসিত হওয়ার কিছু নেই

ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি অমিত শাহকে নিয়ে বিএনপির উল্লসিত হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।
শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে কালনা সেতু প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনকালে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এর আগে গত বুধবার রাত ১০টায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে টেলিফোন করে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন বিজেপির প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ। সেই কথপোকথনে বেগম জিয়ার দ্রুত সুস্থতাও কামনা করেন।
পরদিন বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবস্থানরত সাংবাদিকদের হাতে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি তুলে দেন খালেদার প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সেতু মন্ত্রী বলেন, ‘একজন রাজনীতিকের অসুস্থতার খবর যে কেউ নিতে পারেন। বিএনপি এতে উল্লসিত হয়েছে। কিন্তু তাদের উল্লসিত হয়ে প্রেস কনফারেন্স করার কিছু নেই।’
বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রাম ও রাজনীতি বিদেশ নির্ভর হয়ে পড়েছে। তারা ওবামা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতীয় নেতাদের দিকে তাকিয়ে থাকেন, কখন তারা কী বলেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ত নেই। তাই তারা বিদেশ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এটা তাদের রাজনীতির দেউলিয়াপনা।’
৬৯ ও ৯০-এর আন্দোলনকে গণ-আন্দোলন আখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘গণ-আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকে। জনগণই সেখানে বড় অস্ত্র। জনগণের আন্দোলন যখন হয় এর চেয়ে বড় অস্ত্র আর কিছু থাকে না। আর যখন জনগণ সম্পৃক্ত হয় না, তখন সহিংসতা-নাশকতা হয়। বাস-ট্রেন পোড়ানো হয়। নাশকতা করা কোনো আন্দোলন না।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যে আন্দোলন করছে, তা কোনো গণ-আন্দোলন নয়। এটা সহিংসতা। তাদের সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী এ সময় জানান, প্রায় ৩’শ কোটি টাকা ব্যয়ে কালনা সেতুসহ ৫টি সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হবে। সেতু গুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হলে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলসহ সারা দেশের সাথে রাজধানীর সেতু বন্ধন স্থাপিত হবে। মধুমতি নদীর ওপর কালনা সেতু পদ্মা সেতুর একটি সংযোগ সেতু। সেতুটি নির্মাণ হলে বেনাপোল স্থল বন্দরের সাথেও রাজধানীর সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে।
মন্ত্রীর সঙ্গে এসময় উপস্থিত ছিলেন- সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম ভূঁঞা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ইকবাল, গোপালগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী সমিরণ রায়, নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী তাপসী দাসসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।



মন্তব্য চালু নেই