অমর একুশে : এক রক্তাক্ত স্মৃতির ইতিহাস

একুশের সংক্ষিপ্ত পটভূমি : ১৯৪৭ সালে ভারতের সাথে দেশ ভাগের পর ভাষা, সংস্কৃতি ও ভৌগলিক অবস্থান ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও শুধু মাত্র ধর্মীয় সংখ্যা গরিষ্ঠতার উপর ভিত্তি করে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান দুটি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন অঞ্চল নিয়ে পাকিস্তান একটি রাষ্ট্র গঠিত হয়। জনসংখ্যার দিক দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তান সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও সিভিল সার্ভিস, মিলিটারী ও গুরত্বপূর্ণ সব রাষ্ট্রীয় পদে তাদের আধিপত্য বেশী ছিল। ক্রমে তারা নিজেদের শাসনকর্তা ও বাঙ্গালীদের প্রজা ভাবতে শুরু করলেন। নব গঠিত রাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা ও রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য তারা উর্দূ ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করতে থাকেন। এই পরিকল্পনার কথা জানতে পেরে ঢাকায় ঢাকায় “তমদ্দুন মজলিশের” সেক্রেটারী অধ্যাপক আবুল কাসেমের নেতৃত্বে এক প্রতিবাদ সভা ও রালি বের করা হয় এবং সভায় বাংলাকে উর্দূর পাশাপাশি রাষ্ট্রভাষা করার দাবী করা হয়। এবং এই অবস্থার প্রেক্ষিতে ১৯৪৭ এর ডিসেম্বর মাসে “রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ” গঠন করা হয়। তারপরও তাদের ষড়যন্ত্র চলতে থাকে।
পাকিস্তান সরকারের বিভিন্ন আত্নকেন্দ্রিক সিদ্ধান্তের কারনে আবারো সোচ্চার হয়ে উঠে বাঙ্গালী ফলে ১১ই মার্চ ১৯৪৮ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবীতে পুনরায় মিছিল করা হয় এতে..শেখ মুজিবর রহমান, কাজী গোলাম মাহাবুব, অলি আহাদ, শওকত আলী, সামসুল হক প্রমূখ গ্রেফতার হন।
তারপর ২১শে মার্চ ১৯৪৮ সালে ঢাকার রেস র্কোস ময়দানে তৎকালিন গভর্ণর জেনারেল মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ দৃঢ় ভাষায় ঘোষনা করেন “উর্দূ, এবং উর্দূই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা”। আবারো সোচ্চার হয়ে উঠে বাঙ্গালী, এমন সিদ্ধান্ত কখনো মানবো না এই দাবী উঠে সারা বাংলায়।
এভাবে আরো ৪ বৎসর অতিবাহিত হয় তারপরও পশ্চিম পাকিস্তানীদের ষড়যন্ত্র থামেনা।
২৭শে জানুয়ারী ১৯৫২ সাল পাকিস্তানের নব নিযুক্ত গর্ভণর জেনারেল খাজা নাজিম উদ্দিন ঢাকায় এসে পুনরায় ঘোষনা দেন “উর্দূই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা”। এই ঘোষনা শুনার পর গর্জে উঠে বাঙ্গালী জাতি, প্রতিবাদে জ্বলে উঠে সারা বাংলা। ২১শে ফেব্রুয়ারী সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ র্কতৃক বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে হরতালের ডাক দেওয়া হয়।
২১শে ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ সাল ৮ই ফাল্গুন ১৩৫৯ বঙ্গাব্দ সকাল ৯টা হতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জড়ো হতে লাগলো ছাত্র জনতা। ঐতিহাসিক আমতলা তখন লোকে লোকারণ্য। পাকিস্তান সরকার ঐ দিন ঢাকায় ১৪৪ ধারা ঘোষনা করেন। একসময় সমবেত ছাত্র জনতা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন এবং গাজীউল হকের নেতৃত্বে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সবাই মিছিল নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। মিছিল যখন ঢাকা মেডিক্যালের কাছাকাছি আসে তখন শুরু হয় পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলোগুলি। গুলিতে সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রফিক, জব্বার, সালাম ও বরকত। বুলেটের আঘাতে রফিকের মাথা ফেটে মগজ বের হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে জব্বার ও বরকত ঐ দিন রাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়নে। আহত অবস্থায় ২৫শে ফেব্রুয়ারী রাতে মারা যান সালাম।
২২শে ফেব্রুয়ারী সকালে রাতখোলা নবাবপুরে ২১শে ফেব্রুয়ারীতে গুলিতে শহীদের জন্য প্রতিবাদ সভা ও মিছিল বের করা হয় এতে পুলিশের র্নিবিচারে গুলি আরম্ভ হয়….ঐ গুলিতে শহীদ হন শফিউর রহমান এবং ৯ বৎসর বয়সী অহিউল্লা পিতা রাজমিস্ত্রি হাবিবুর রহমান ও রিক্সা চালক ২৬ বৎসর বয়সী আব্দুল আউয়াল।

এই ২১শে ফেব্রুয়ারী বা ৮ই ফাল্গুন বর্তমানে প্রতি বৎসর আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পৃথিবীর সব দেশ একযোগে পালন করেন। ১৭ই নভেম্বর ১৯৯৯ সালে ইউনোস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারীকে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেন এবং ২০০০ সাল থেকে সারা বিশ্ব এই দিবসটিকে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন শুরু করেন।

১৯৫২ এর ৪ঠা ফেব্রুয়ারীতে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবীতে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার মিছিল।

 

আমাদের ভাষা শহীদ:

ভাষা শহীদ রফিক সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন:
ভাষা শহীদ রফিক (১৯২৬-১৯৫২)
জন্ম : ৩০শে অক্টোবর ১৯২৬ সাল ৷
জন্মস্থান : পারিল গ্রাম, ইউনিয়ন-বলধারা, থানা-সিঙ্গাইর,মানিকগঞ্জ।
মৃত্যু : ২১ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২ সাল ৷
সমাধি স্থল : ঢাকার আজিমপুর এই পুরানো কবরস্থানের হাজারো কবরে ভীড়ে মহান ভাষা শহীদ রফিক উদ্দিন আহমেদ চিরনিদ্রায় শুয়ে আছেন যার কবরের চিহ্ন পাকিস্তানী সরকার রাখেনি ৷

ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন: ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার(১৯১৯-১৯৫২)
জন্ম : ১০শে অক্টোবর ১৯১৯ইং বা বাংলা ২৬শে আশ্বিন ১৩২৬ বঙ্গাব্দ ৷
জন্মস্থান : ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাঁচুয়া গ্রামে ৷
মৃত্যু : ২১ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২ সাল ৷
সমাধি স্থল : ঢাকার আজিমপুর পুরানো কবরস্থানে ৷

ভাষা শহীদ আবুল বরকত সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন: ভাষা শহীদ আবুল বরকত(১৯২৭-১৯৫২)

১৯৫২এর ২১শে ফেব্রুয়ারীতে ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার আগ মুহুর্তে আমতলায় গণজমায়েত।

জন্ম : ১৬ই জুন, ১৯২৭ ইং ৷
জন্মস্থান : ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহাকুমার ভরতপুর থানার বাবলা গ্রামে ৷
মৃত্যু : ২১ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২ সাল ৷
সমাধি স্থল : ঢাকার আজিমপুর পুরানো কবরস্থানে ৷

ভাষা শহীদ আবদুস সালাম সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন: ভাষা শহীদ আবদুস সালাম (১৯২৫-১৯৫২)
জন্ম : ১৯২৫ সাল ৷
জন্মস্থান : ফেনী জেলার দাগনভুঁইঞা উপজেলার লক্ষণপুরে।
মৃত্যু : ২৫ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২ সাল, সরকারী গেজেটে ৭ই এপ্রিল ১৯৫২ ৷
সমাধি স্থল : ঢাকার আজিমপুর পুরানো কবরস্থানে ৷

ভাষা শহীদ শফিউর রহমান সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন: ভাষা শহীদ শফিউর রহমান(১৯১৮-১৯৫২)
জন্ম : ২৪ জানুয়ারী ১৯১৮ সাল ৷
জন্মস্থান : কোননগর, হুগলী, চব্বিশ পরগণা, পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন।
মৃত্যু : ২২ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২ সাল ৷
সমাধি স্থল : ঢাকার আজিমপুর পুরানো কবরস্থানে ৷

২২শে ফেব্রুয়ারীতে নিহত আরো দু‌জন শহীদের নাম বিভিন্ন তথ্যে পাওয়া যায় যারা শহীদ হয়েছেন রাথখোলা, নবাবপুরে এরা হলেন:-

১. অহিউল্লা, পিতা রাজমিস্ত্রি হাবিবুর রহমান বয়স:-৯ বৎসর ও
২. আব্দুল আউয়াল একজন রিক্সা চালক বয়স:-২৬ বৎসর।

ভাষা শহীদদের জন্য নির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।

৫২ একুশে’র ভাষা সৈনিকদের সংক্ষিপ্ত নামের তালিকা:-

ঢাকা বিভাগ

ঢাকা
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ॥ ড. কাজী মোতাহার হোসেন ॥ গাজীউল হক ॥ অধ্যাপক আবুল কাসেম ॥ কাজী গোলাম মাহবুব ॥ অলি আহাদ ॥ রওশন আরা বাচ্চু ॥ আবুল মনসুর আহমদ ॥ তোফাজ্জেল হোসেন মানিক মিয়া ॥ মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ॥ আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ ॥ আবুল কালাম শামসুদ্দিন ॥ মুনীর চৌধুরী ॥ শহীদুল্লাহ কায়সার ॥ জহির রায়হান ॥ আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী ॥ ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ ॥ আবুল কাশেম ফজলুল হক ॥ আনোয়ারা খাতুন ॥ শামসুল হক ॥ আমানুল হক॥ শেখ মুজিবুর রহমান ॥ আতাউর রহমান খান ॥ আব্দুর রশীদ খান তর্কবাগীশ ॥ আবুল হাশিম ॥ আবদুল হক ॥ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ॥ এস এম নুরুল হক ভূইয়া ॥ মোহাম্মদ তোয়াহা ॥ আবদুল মতিন ॥ অধ্যাপক হালিমা খাতুন ॥ অধ্যাপক সাফিয়া খাতুন ॥ অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ ॥ ডা. গোলাম মাওলা ॥ খালেক নেওয়াজ খান ॥ অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ॥ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান শেলী ॥ মোঃ শামসুল হক ॥ কামরুদ্দিন আহমেদ শহিদ ॥ মোহাম্মদ সুলতান ॥ এস এ বারি এ টি ॥ মুহম্মদ তকীউল্লাহ ॥ ইমাদুল্লাহ ॥ মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ ॥ আব্দুল মতিন খান চৌধুরী ॥ আব্দুর রহমান চৌধুরী ॥ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ॥ তাজউদ্দিন আহমদ ॥ কামরুদ্দীন আহমদ ॥ মনোরঞ্জন ধর ॥ নেয়ামাল বাসির ॥ মীর্জা গোলাম হাফিজ ॥ মহিউদ্দিন আহমদ ॥ হাসান হাফিজুর রহমান ॥ অধ্যাপক অজিত কুমার গুহ ॥ আবদুস সামাদ আজাদ ॥ ডা. বদরুল আলম ॥ সাইয়িদ আতীকুল্লাহ ॥ বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর ॥ এম আর আখতার মুকুল ॥ আহমদ রফিক ॥ ড. মোজাফ্‌ফর আহমেদ চৌধুরী ॥ আলী আহম্মদ খান ॥ মোজাফ্‌ফর আহমেদ ॥ ইমদাদ হোসেন ॥ মুর্তজা বশীর ॥ আমিনুল ইসলাম ॥ খন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস কে জি মোস্তফা ॥ কোরবান আলী ॥ সাদেক খান ॥ আলতাফ মাহমুদ ॥ আবদুল লতিফ ॥ নিজামুল হক ॥ মোমিনুল হক ॥ এস এম নুরুল আলম ॥ আনোয়ারুল হক খান ॥ মোশারফ হোসেন চৌধুরী ॥ বাহাউদ্দিন চৌধুরী ॥ আমিনুল হক ॥ ডা. সাঈদ হায়দার ॥ আমানুজ্জামান থান (বেবী) ॥ মীর ফজলুল হক ॥ মোঃ পিয়ারু সরদার ॥ আব্দুল মমিন ॥ জুলমত আলী খান ॥ কামরুজ্জামান ॥ বদরুদ্দিন ওমর ॥ ফকির শাহাবুদ্দিন ॥ মোহাম্মদ আলী ॥ আনসার আলী ॥ নঈম বিশ্বাস আলী ॥ জিল্লুর রহমান আলী ॥ ডা. ফরিদুল হুদা ॥ ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর ॥ শামসুল হক ॥ খন্দকার মোশতাক আহমেদ ॥ মোহাম্মদ মোকাম্মেল হক ॥ অধ্যাপক মুস্তফা নূরুল ইসলাম ॥ অধ্যাপক শাহেদ আলী ॥ গোলাম আজম ॥ মৌলভী ফরিদ আহমদ ॥ অধ্যাপক আব্দুল গফুর ॥ আমেনা বেগম ॥ মোসলেমা খাতুন ॥ সুফিয়া খান ॥ উষা বেপারী ॥ গুলে ফেরদৌস ॥ রওশন জাহান হোসেন ॥ কাজী খালেদা খাতুন ॥ রওশন আহমেদ দোলন ॥
ময়মনসিংহ
রফিক উদ্দিন ভূইয়া হোসেন ॥ শামছুল হক ॥ মোস্তফা এম এ মতিন ॥ মহাদেব স্যানাল ॥ হাতেম আলী তালুকদার ॥
নারায়নগঞ্জ
মুস্তাফা সারোয়ার ॥ মুস্তাফা মনোয়ার ॥ সিরাজুল হক ।
মানিকগঞ্জ
প্রমথ নন্দী ॥ মোঃ রেহাজ উদ্দিন ॥ মোঃ ওয়াজউদ্দিন মাষ্টার ॥ সাহারা খাতুন ॥ খন্দকার দেলোয়ার হোসেন ॥
মুন্সিগঞ্জ
ডা. এম এ কাদের ॥ মোঃ আব্দুস বাসেত ॥
নরসিংদী
এস এম চান মিয়া ॥ আবুল হাশিম মিয়া ॥ রমিজউদ্দিন ভূইয়া ॥ আব্দুল করিম মিয়া ॥
টাঙ্গাইল
বদিউজ্জামান খান ॥ সৈয়দ নুরুল হুদা ॥ আলী আকবর খান খোকা ॥ আলতাফ হোসেন ॥ রোকেয়া রহমান ॥
শেরপুর
ডা. সাদেকুর রহমান ॥ অমূল্য রতন সিংহ ॥ রবি নিয়োগী ॥ নিজাম উদ্দিন ॥ আহছান উল্লাহ ॥ শামছুল হুদা ॥
জামালপুর
সৈয়দ আব্দুস সাত্তার ॥ সৈয়দ আব্দুস সোবাহান ॥
নেত্রকোনা
ওয়াজেদ আলী ॥ আছিম উদ্দিন আহমেদ ॥ ফজলুর রহমান খান ॥ এ কে এম ফজলুল কাদের ॥ আব্দুল আলী ।
কিশোরগঞ্জ
আবু তাহের খান পাঠান ॥ হেদায়েত হোসেন ॥ আশরাফ উদ্দিন মাষ্টার ॥ মিসিরউদ্দিন আহমদ ॥ জগদীশ পন্ডিত ॥
ফরিদপুর
ইমাম উদ্দিন আহমেদ ॥ মুনাওয়ার হোসেন ॥ এম এ লতিফ ॥ লিয়াকত হোসেন ॥ মহিউদ্দিন ॥ ননী গোপাল সাহা ॥ শেখ মহিউদ্দিন ॥ এস এম নুরুন্নবী ॥
শরীয়তপুর
মোঃ নুরুল ইসলাম ॥ রবীন্দ্রনাথ ঘটক ॥
মাদারীপুর
সরদার আবুল ফজল ॥ মোঃ মতিয়ার রহমান ॥ মিয়া আব্দুল ওহাব ॥
গোপালগঞ্জ
আব্দুস সাত্তার মোল্লা ॥ এস এম ফজলুর রহমান ॥ পরেশ চন্দ্র বিশ্বাস ॥ আবুল হোসেন ভূইয়া ॥

চট্টগ্রাম বিভাগ

চট্টগ্রাম
মাহবুবুল আলম চৌধুরী ॥ আব্দুল্লাহ আল হারুন ॥ চৌধুরী হারুন অর রশিদ ॥ এম এ আজিজ ॥ জহুর আহমদ চৌধুরী ॥ রফিকউদ্দিন আহমদ সিদ্দিকী ॥ আজিজুর রহমান ॥ কৃষ্ণ গোপাল সেন ॥ কলিম শরাফী ॥
ফেনী
খাজা আহমদ ॥ এম এম হুদা ॥ জুলফিকার হায়দার চৌধুরী ॥ লুৎফর রহমান (ভানু) ॥
কুমিল্লা
সালাউদ্দিন
নোয়াখালী
রইস উদ্দিন ॥ কামাল উদ্দিন ॥ তারকবন্ধুনাথ ॥ আহসান উল্লাহ ॥ সহিদ উদ্দিন ইসকান্দার ॥
ব্রাহ্মনবাড়িয়া
মোহাম্মদ মুসা ॥ লুৎফর রহমান ॥ মালেক মিয়া ॥

খুলনা বিভাগ

খুলনা
শেখ রাজ্জাক আলী ॥
যশোর
হামিদা রহমান ॥ আফসার আহমেদ সিদ্দিকী ॥ আলমগীর সিদ্দিকী ॥ মশিউর রহমান ॥ মোঃ একরামুল হক ॥ ঈমান আলী মাষ্টার ॥ এম এইচ জিন্নাহ ॥
মাগুরা
আবদুর রশীদ ॥ আবদুস সালাম ॥ আলী আহমেদ ॥ এ কে এম হামিদুজ্জামান ॥ মির্জা শওকত হোসেন ॥ নাসিরুল ইসলাম ॥
ঝিনাইদহ
এম এনামুল হক ॥ জাহিদ হোসেন ॥ মনোয়ারা বেগম ॥ গুলজার হোসেন ॥ আমির হোসেন মালিতা ॥
কুষ্টিয়া
অ্যাডভোকেট মোঃ মহসিন ॥ সৈয়দ আলতাফ হোসেন ॥
চূয়াডাঙ্গা
মোঃ শাহজাহান ॥ আবুল হাসেম ॥ আজিজুল হক ॥ ডা. আসহাবুল হক ॥ আছগর আলী মোল্লা ॥ আবু সালেহ জোয়ার্দার ॥

সিলেট বিভাগ

সিলেট
নাসির আহমেদ চৌধুরী ॥ সিরাজ উদ্দিন আহমেদ ॥ দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ ॥ দেওয়ান ফরিদ গাজী ॥ হাজেরা মাহমুদ ॥ পীর হাবিবুর রহমান ॥ মাহমুদ আলী ॥ মতিন উদ্দিন আহমদ ॥তসদ্দুক আহমেদ ॥ সাদত খান ॥ সৈয়দ মোতাহীর আলী ॥ মুহম্মদ নূরুল হক ॥ বাহাউদ্দিন আহমদ ॥ মসউদ খান ॥ সাফাত আহমেদ চৌধুরী ॥ আবু সায়ীদ মাহমুদ ॥ আসদ্দর আলী ॥ মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী ॥
হবিগঞ্জ
আফসার আহমেদ ॥ মোস-ফা শহীদ ॥ মোহাম্মদ মাহবুবুল বারী ॥ চৌধুরী আব্দুল হাই ॥ মোঃ ফজলুল হক ॥ সৈয়দ আফরোজ বখত ॥

রংপুর বিভাগ

রংপুর
আফতাবুর নাহার ॥ মনিকৃষ্ণ সেন ॥ মোঃ নুরুল ইসলাম ॥ শংকর বসু ॥ নাজাতুল আলম জেবিন ॥ মকসুদ হোসেন ॥ হাবিবুর রহমান চৌধুরী ॥ ।
সৈয়দপুর
মতিউর রহমান ॥
দিনাজপুর
হাজী মোহাম্মদ দানেশ ॥

রাজশাহী বিভাগ

রাজশাহী
এম আতাউর রহমান ॥ অধ্যাপক মোঃ একরামুল হক ॥ আবুল কাশেম চৌধুরী ॥ কাজী আব্দুল মান্নান ॥ ড. এস এম আব্দুল গাফফার ॥ কসিমুদ্দিন আহমেদ ॥ মহসীন প্রামানিক ॥ সাঈদ উদ্দিন আহমেদ ॥ আব্দুস সাত্তার ॥ মমতাজ উদ্দিন আহমদ ॥ বিচারপতি আনসার আলী ॥ মোহসেনা বেগম ॥ মনোয়ারা বেগম ॥ ক্যাপ্টেন শামসুল হক ॥ মাদার বখস ॥ হাফিজা বেগম টুকু ॥ ডা. আজিজুল বারী চৌধুরী ॥ এডভোকেট আবুল কালাম চৌধুরী ॥ । পাবনা
শওকতজান চৌধুরী ॥ কমরেড প্রসাদ রায় ॥ সেলিনা বানু ॥ রণেশ মৈত্র ॥ আমজাদ হোসেন ॥ ফকরুল ইসলাম ।
সিরাজগঞ্জ
সাইফুল ইসলাম ॥ আবুল হোসেন ॥ সাহাবুদ্দিন সরকার ॥ আবুল ফাত্তা নূরে এলাহী ॥ মেহের নিগার নূরে এলাহী ॥ মোতাহার হোসেন তালুকদার ॥ জিতেন্দ্রনাথ নিয়োগী ॥
বগুড়া
মুখলেছুর রহমান ॥ জালাল উদ্দিন আকবর ॥ নুরুল হোসেন মোল্লা ॥ দুর্গাপদ মুখার্জী ॥ মোশারফ হোসেন মন্ডল ॥ গোলাম মহিউদ্দিন ॥ এইচ এম মতিয়ার রহমান ॥

বরিশাল বিভাগ

বরিশাল
কাজী বাহাউদ্দিন আহমদ ॥ সামছুল হক চৌধুরী ॥ আবুল হাসেম ॥ এ কে এম আমির উদ্দিন ॥ মিসেস হামিদউদ্দিন ॥ মোশারফ হোসেন মোচন ॥ মিহির লাল দত্ত ॥
পটুয়াখালী
সৈয়দ আশরাফ হোসেন ॥ খন্দকার খালেক ॥

৫২‌’র ভাষা আন্দোলনের কিছু ছবি

১৯৫২ এর ৪ঠা ফেব্রুয়ারীতে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবীতে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার মিছিল।

১৯৫২এর ২১শে ফেব্রুয়ারীতে ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার আগ মুহুর্তে আমতলায় গণজমায়েত।

১৯৫২ এর ২১শে ফেব্রুয়ারীতে ছাত্র জনতার সমাবেশ।

১৯৫২ এর ২২শে ফেব্রুয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে কালো পতাকা উত্তোলনরত ছাত্ররা।

১৯৫২ এর ২২শে ফেব্রুয়ারী শহীদদের জন্য জানাযা রালি।

১৯৫২ এর ২১শে ফেব্রুয়ারীতে নিহত শহীদের জন্য নির্মিত প্রথম শহীদ মিনার, যা রাতের আঁধারে পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠি ভেঙ্গে ফেলে।

১৯৫৩ এর ২১শে ফেব্রুয়ারীতে ঢাকা মেডিক্যালের সামনে নির্মিত শহীদ মিনার।

মুখের ভাষা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টারত সেই সব ঘাতকরা

ভাষা ঘাতক গর্ভনর জেনারেল মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ।

ভাষা ঘাতক গর্ভনর জেনারেল খাজা নাজিম উদ্দিন।

ছবি ও তথ্য সূত্র:- উইকিপিডিয়া-২১শে ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ , ইন্টারনেট, ভাষা সৈনিক আমানুল হক, ভাস্কর রাসা, বিশ্ব তোরনে বাংলা ও বিভিন্ন পত্রিকা থেকে নেওয়া। এবং ভাষা সৈনিকদের নামের তালিকা:- সি এম তারেক রেজা প্রণীত একুশ ভাষা আন্দোলনের সচিত্র ইতিহাস (১৯৪৭-১৯৫৬) থেকে।



মন্তব্য চালু নেই