বিশ্বে প্রথম এবং একমাত্র বোলার হিসেবে

অভিষেকেই তাইজুলের বিশ্ব রেকর্ড

পারেননি ওয়াসিম আকরাম কিংবা ওয়াকার ইউনুস। পারেননি ব্রেট লি বা গিলেস্পি, নেই চামিন্দা ভাসও। ওয়ানডেতে খেলা কোনো ক্রিকেটারই নেই। আছেন শুধু তাইজুল ইসলাম। তার আগেও কেউ নেই, পরেও কেউ নেই।

সোমবার এমনই এক ক্লাব ওপেন করলেন বাংলাদেশের তাইজুল ইসলাম। অভিষেক ম্যাচে হ্যাটট্রিকসহ ৪ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম কোনো ক্রিকেটার হিসেবে এই রেকর্ড গড়েছেন তিনি।

এ ছাড়া চতুর্থ বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন তাইজুল। এর আগে পেসার শাহাদাত হোসেন ও স্পিনার আবদুর রাজ্জাক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এবং পেসার রুবেল হোসেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন।

ওয়ানডে ক্রিকেটের ২২ হাজার সাততম ও বাংলাদেশের ১১৬তম ক্রিকেটার হিসেবে সোমবার অভিষেক হয় স্পিনার তাইজুল ইসলামের। অভিষেকে তিনি যে কীর্তি গড়েছেন তা ২২ হাজার ছয়জন ক্রিকেটারের কেউ করতে পারেনি। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা নিজের পরিবর্তে ১১তম ওভারে তাকে (তাইজুল) বোলিংয়ে নিয়ে আসেন। প্রথম ওভারে মাত্র ২ রান খরচ করেন এই তরুণ তুর্কী। এরপর টানা চার ওভার বল করে গেলেও উইকেটশূন্য ছিলেন। প্রথম পাঁচ ওভারে রান দেন ১১। এরপর আর কোনো রান না দিয়েই হ্যাট্রিকসহ চার-চারটি উইকেট তুলে নেন।

২৭তম ওভারে জুবায়েরের পরিবর্তে তাইজুলকে বোলিংয়ে আনেন মাশরাফি। প্রথম বলেই বাজিমাত। সোলোমোন মোরের উইকেট নিয়ে ওয়ানডেতে উইকেট শিকারের ঝুলি খোলেন তাইজুল। চার বল পর ওভারের শেষ বলে আবারও সফরকারীদের শিবিরে আঘাত করেন এই বাঁহাতি স্পিনার। পেসার পানিয়াঙ্গারা সরাসরি বোল্ড করেন।

২৯তম ওভারের প্রথম বলে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন তাইজুল। জন নিয়াম্বু এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন। নিয়াম্বুর বিদায়ের পর তাইজুলের হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি হয়। ওভারের দ্বিতীয় বলেই ইতিহাসের পাতায় বন্দি হন তাইজুল। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে সরাসরি বোল্ড হন চাতারা।

আর এই উইকেট দিয়ে ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ম্যাচে হ্যাটট্রিক তুলে নেওয়ার রেকর্ড গড়েন তাইজুল। অভিষেক ম্যাচে ৭ ওভার বোলিংয়ের সুযোগ পান এই স্পিনার। ২ মেডেনসহ মাত্র ১১ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যান অফ দ্য ফাইনাল নির্বাচিত হন বাঁহাতি এই স্পিনার।



মন্তব্য চালু নেই