অভিশংসনের ক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা পাবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, ‘বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদে গেলে প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা পাবে। এতে বিচারকরা স্বাধীনভাবে সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিতে পারবেন না।’
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) আয়োজিত ‘বিচার বিভাগ দলীয়করণ ও সম্প্রচার নীতিমালার নামে গণতন্ত্রের টুটি চেপে ধরার’ প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, ‘স্বাধীন ও সুষ্ঠুভাবে সরকারের বিরুদ্ধে বিচারকরা যেন রায় না দিতে পারেন, সেজন্যই তাদের ক্ষমতাকে খর্ব করতে অভিশংসনের আইন করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘অভিশংসনের ক্ষমতা যদি সংসদে থাকতো, তবে নারায়ণগঞ্জের সেভেন মার্ডার ঘটনায় বিচারকরা র্যাব কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের আদেশ দিতে পারতেন না।’
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনায়কতন্ত্র কায়েম করছেন’ উল্লেখ করে রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার (শেখ মুজিব) পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন। শেখ মুজিবুর রহমান সরাসরি একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী কৌশলে একনায়কতন্ত্র কায়েম করছেন। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানই পার্লামেন্ট থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে অভিশংসনের পদ্ধতি তুলে দেন। তখন এ ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত করা হয়েছিল। এখন আবার সেই আওয়ামী লীগই আগের অবস্থানে ফিরে যেতে চায়।’
এর আগে সকাল সাড়ে দশটার দিকে মানববন্ধনের জন্য দাঁড়াতে গেলে নেতাকর্মীদের বাধা দেয় এবং মাইক কেড়ে নেয় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। পরে অবশ্য প্রধান অতিথি বক্তব্য দেয়ার সময় মাইক ফিরিয়ে দেয়া হয়।
সংগঠনের সভাপতি খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ন্যাপ এর মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামিক পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মোবিন, এনডিপির মহাসচিব আলমগীর মজুমদার প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই