অভিজিৎ হত্যা কি মান্নার কথা সত্য প্রমাণের চেষ্টা? : প্রশ্ন বঙ্গবীরের

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘মাহমুদুর রহমান মান্না নাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ চেয়েছেন। তাহলে অভিজিৎ রায়ের লাশ হওয়া কি তার কথাকে সত্য প্রমাণের চেষ্টা?’ মতিঝিলে অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করতে আসা ব্যক্তিদের সঙ্গে সোমবার আলাপকালে তিনি এ সব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘তিন-চারশ গজ দূরে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপকারীদের পুলিশ পাখির মতো গুলি করে দিতে পারে, আর ৫-১০ হাত দূরে একজন লোক হত্যা হল, পুলিশসহ সবাই তামাশা দেখল- প্রশ্নগুলো কি মানুষের মনে আসতে পারে না?’ তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি অতি সামান্য। প্রধান বিরোধী দলের কাছে প্রত্যাশা, তারা হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার অথবা স্থগিত করুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, দেশের শান্তি ও কল্যাণের স্বার্থে যার সঙ্গে প্রয়োজন তার সঙ্গেই আলোচনা করুন। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব জয় শঙ্করের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন, দেশের মানুষের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন না কেন? আমরা কি তবে ভারতের করদ রাজ্য?’

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘পরাধীন ব্রিটিশ ভারতেও সূর্যোদয়ের আগে ঘর থেকে কাউকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা যেত না। কাউকে গ্রেফতার করতে বাড়ি ঢোকার আগে প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিতে হতো এবং যে প্রতিবেশী ও কর্মকর্তারা কারও বাড়িতে ঢুকতেন তাদের দেহ তল্লাশী করা হতো, যাতে নিজেরা অবৈধ কোনোকিছু রেখে তাদের হয়রানি করতে না পারে।’

বঙ্গবীর বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান মান্নাকে কোথাকার কোন তষ্করেরা গভীর রাতে তুলে নিয়ে গেছে। পুরো এক দিন এক রাত নকশা করে পরদিন তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে কথা বললেই কী, আর না বললেই কী? টেলিফোন আলাপে যা শুনলাম তাতে আপত্তিকর দু-একটি কথা থাকলেও অমন কথা তো ঘরে ঘরে আলোচনা হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলন বুধবার মতিঝিলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে ফুটপাথে আগামী ৪ মার্চ বুধবার দুপুর ১২টায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম এক সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেছেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার গ্রেফতার, অভিজিৎ রায়ের হত্যাসহ গত ২৮ জানুয়ারি থেকে টানা অবস্থানে থাকার অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন।



মন্তব্য চালু নেই