‘মুজিব হত্যায় হাসিনা, হানিফ জড়িত’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম- স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ওই হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগের বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফও জড়িত বলে দাবি করেন গয়েশ্বর।

গত বুধবার হানিফ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন খালেদা জিয়া। এছাড়া জিয়া হত্যার বিচারে খালেদা জিয়া কোনো উদ্যোগ নেননি। এতে বোঝা যায় এ হত্যকাণ্ডে তারও হাত রয়েছে।’

বুধবার আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে হানিফের দেয়া ওই বক্তব্যের জবাবে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় একথা বললেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন গয়েশ্বর।

গয়েশ্বর আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ বলেছেন বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও কর্তৃত্ব পাওয়ার স্বার্থে জিয়াউর রহমানকে হত্যার সঙ্গে জড়িত খালেদা জিয়া। এছাড়া তিনি তার বক্তব্যের পক্ষে আরো বেশকিছু যুক্তি দেখিয়েছেন। তবে সে ক্ষেত্রে মুজিব হত্যার ক্ষেত্রেও আমাদের কাছে পাল্টা যুক্তি রয়েছে। শেখ মুজিব হত্যার সঙ্গে শেখ হাসিনা জড়িত রয়েছেন। এর পেছনে ক্ষমতার লোভ রয়েছে তার। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে হানিফের সম্পৃক্ততা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার পথ পরিষ্কার করার জন্য শেখ জামাল, শেখ কামালসহ পরিবারের সবাইকে হত্যার সঙ্গে শেখ হাসিনার সংযুক্তি রয়েছে।’

‘যুদ্ধকালীন সময়ে দেশের প্রতিটি পরিবারের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। শুধুমাত্র একটি পরিবার বাদে। আর সে পরিবার হলো শেখ মুজিবের পরিবার। শেখ মুজিবের পরিবার ধানমণ্ডির একটি নির্দিষ্ট বাড়িতে পাকিস্তানিদের অর্থ দিয়ে চলতো। এমনকি তাদের নিরাপত্তার জন্য পাকিস্তানি সেনাবাহিনীও নিযুক্ত করা হয়েছিল,’ বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

সদ্যপ্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আওয়ামী একটি অবৈধ সরকার, আর অবৈধ সরকার অবৈধ বাজেট দিয়েছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। এরশাদের সরকার নয় বছর ক্ষমতায় ছিল। এখন সেই এরশাদকে সঙ্গে নিয়ে দুই পাগল এক হয়েছে।’

একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, ‘আজ দেশে মাত্র দুটি ট্রাইব্যুনালে মানবাতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার চলছে। ভবিষ্যতে এ ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা দুই থেকে দশ করা হবে এবং সেখানে আওয়ামী লীগের গুম, খুন, হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হবে।’

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাবিবুর রহামান হাবিব প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই