অবিশ্বাস্য লাগবে, এই ৯টি খাবার জন্মসূত্রে আদৌ বাংলাদেশি নয়!
ঘুম থেকে উঠেই হালকা কিছু মুখে দিয়ে এক কাপ গরম চা না হলে সারা দিনটাই বৃথা! এমনকি সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে চা, আড্ডার দোসর চা— আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িয়ে রয়েছে এই চা। এই চা-ও কিন্তু জন্মসূত্রে এই দেশের ‘নাগরিক’ নন। আর এই চা এসেছে সূদূর চিন থেকে।
আলু: আলু ছিল না বলে সম্রাট আকবর বিরিয়ানিতে আলুই খেতে পারেননি। আফসোস ছিল তাঁর। তেমনই আলু ছাড়া তরকারির কথা ভাবাই যায় না। আলু সেদ্ধ, আলু ভাজা, আলু পোস্ত আরও কত কিছু খাবার তৈরিতে আলু অপরিহার্য। আর বাঙালির হেঁশেলে
আলু তো বলতে গেলে রাজত্ব করে। এই আলুর জন্ম কোথায় জানেন? আমেরিকায় ইউরোপীয় উপনিবেশে প্রথম আলুর জন্ম। সেখান থেকে পর্তুগিজদের হাত ধরে আলু পৌঁছয় ভারতে।
শিঙাড়া: তেলেভাজার নাম উঠলেই চপের সঙ্গে শিঙাড়ার নাম আসবেই। শীত, গ্রীষ্ম হোক বা বর্ষা— সব সময়ই বাঙালির কাছে এর চাহিদা তুঙ্গে। মুড়ির সঙ্গে সদ্য তেলে ভাজা সিঙাড়ার তো জবাবই নেই। জানেন কি আপনার এই প্রিয় তেলেভাজাটির জন্ম কোথায়? এটি এসেছে পশ্চিম এশিয়া থেকে।
নান: এই রুটি ব্যাপারটাই পারস্যের একচেটিয়া। মুঘলরা এনেছিল এই নান।
লুচি: বাঙালির রসনাতৃপ্তির আরও এক আইটেম লুচি। এমন কোনও বাঙালি নেই যিনি এই খাবার দেখে নাক শিটকান! বাঙালির এই প্রিয় পদটিও কিন্তু ‘বাঙালি’ নয়। পর্তুগিজদের হাত ধরে ভারতে এসেছে। দখল করে নিয়েছে বাঙালির হেঁশেল।
জিলিপি: ভাজা মিষ্টির বেশিরভাগের উৎপত্তি মধ্যপ্রাচ্যে। আড়াই প্যাঁচের নাম উঠলেই কী তা সেটা জানি সবাই। মেলায়, মিষ্টির দোকানে আড়াই প্যাঁচ দিয়ে গরম তেলে ভেজে রসে চুবিয়ে নিলেই হয়ে গেল জিলিপি।
এই মিষ্টান্নটি এসেছে সেই পশ্চিম এশিয়া থেকেই।
গুড়: ভারতে গুড় এসেছে পর্তুগিজদের হাত ধরে।
কফি: আপনি যে কফি খান, সেটার জন্ম কোথায়? এটা হয়ত অনেকেই জানেন। কিন্তু এর জন্ম কোথায় সেটা কি জানেন?
১৬৭০ সালে ইয়েমেন থেকে ভারতে লুকিয়ে কফির বীজ নিয়ে আসেন বাবা বুদান।
সেই বীজ কর্নাটকের চিকমাগালুরে ছড়িয়ে দেন। এখান থেকেই ভারতে কফির উত্পত্তি।
ডাল-ভাত-খিচুড়ি: বাঙালির সাদামাটা খাবার মানেই ডাল-ভাত। জানেন এই ডাল-ভাতের কনসেপ্ট কোথা থেকে এসেছে? এই দুটিই এসেছে নেপাল থেকে। খিচুড়ির জন্মও এই নেপালেই।-আনন্দবাজার
মন্তব্য চালু নেই