অবিশ্বাস্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ!

ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছিল মাত্র ১৯৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৬ ওভারের মধ্যে মাত্র ৪৮ রান সংগ্রহ করতেই হারিয়েছিল চারটি উইকেট। কিংস্টন টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে মনে হয়েছিল, ভারতের জয়টা শুধুই সময়ের ব্যাপার। একমাত্র বৃষ্টিই বাঁচাতে পারবে স্বাগতিকদের। কিন্তু পঞ্চম দিনে অবিশ্বাস্য নৈপুণ্যই দেখালেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানরা। ৮৮ ওভার ব্যাটিং করে হারালেন মাত্র দুটি উইকেট। ড্র হয়ে গেল কিংস্টন টেস্ট।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ পঞ্চম দিনের ব্যাটিং শুরু করেছিল খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে। চতুর্থ দিনে ৪৮ রান সংগ্রহ করতেই হারিয়েছিল প্রথম সারির চার ব্যাটসম্যানের উইকেট। ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে তখনো প্রয়োজন ছিল ২৫৬ রান। তবে পঞ্চম দিনে পুরোপুরি ভিন্ন চেহারায় দেখা গেছে উইন্ডিজকে। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড ও রোস্টন চেস। পঞ্চম উইকেটে তাঁরা গড়েছিলেন ১০৬ বলে ৯৩ রানের জুটি। পঞ্চম দিনের খেলায় ভারতের প্রথম সাফল্যটি আসে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের হাত ধরে। ৩৪তম ওভারে ব্ল্যাকউডকে সাজঘরে ফেরান এই অফস্পিনার। ৫৪ বলে ৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন ব্ল্যাকউড।

ততক্ষণে ওয়েস্ট ইন্ডিজও যেন ফিরে পেয়েছিল আত্মবিশ্বাস। ষষ্ঠ উইকেটে শেন ডরউইচকে সঙ্গে নিয়ে আবার ১৪৪ রানের জুটি গড়েন চেস। এই জুটি উইকেটে টিকে ছিল ৩৮ ওভার। ৭২তম ওভারে ডরউইচকে (৭৪) আউট করতে পারলেও কোনো লাভ হয়নি ভারতের। টেস্টটা যে ড্র-ই হতে চলেছে, সেটা ততক্ষণে প্রায় নিশ্চিতই হয়ে গেছে। দিনের বাকিটা সময় আর কোনো সাফল্যও পায়নি সফরকারীরা। সপ্তম উইকেটে অধিনায়ক জ্যাসন হোল্ডারের সঙ্গে আবারও এক লড়াকু জুটি গড়ে তোলেন চেস। ৩২.২ ওভার ব্যাটিং করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিতই ছিলেন চেস ও হোল্ডার। এ জুটি থেকে এসেছে ১০৩ রান। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর দাঁড়িয়েছিল : ৩৮৮/৬।

বল হাতে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতেও চেস খেলেছেন ১৩৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার গ্যারি সোবার্সের পর তিনিই প্রথমবারের মতো গড়েছেন একই টেস্টে শতক ও পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি। ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তাঁর হাতে। অধিনায়ক হোল্ডার অপরাজিত ছিলেন ৬৪ রান করে।

আগামী ৯ আগস্ট থেকে শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট।



মন্তব্য চালু নেই