অবশেষে হাফিজের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া-বধ
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দীর্ঘ এক যুগের জয়ের খরা কাটলো পাকিস্তানের। মেলবোর্নে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬ উইকেটে জয় পেল পাকিস্তান। সর্বশেষ তাদের জয়টি ছিল ২০০৫ সালে। অবশেষে মোহাম্মদ হাফিজের নেতৃত্বেই অস্ট্রেলিয়া বধ করলো এশিয়ান পরাশক্তি।
নিয়মিত অধিনায়ক আজহার আলীর ইনজুরির কারণে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে নেতৃত্ব এসে পড়ে মোহাম্মদ হাফিজের ওপর। ৬ উইকেটে পাওয়া জয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৭২ রান করে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।
দুর্দান্ত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ২২০ রানে বেধে ফেলার পরই জয়ের স্বপ্ন উঁকি দিচ্ছিল পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মনে। ২২১ রানের টার্গেটটাকে কখনো চোখ রাঙাতে না দিয়ে জয় উদযাপন করেই মাঠ ছেড়েছেন তারা। জয় উদযাপনে আহামরি কিছু হয়তো ছিল না, তবে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আসা এই জয় প্রশান্তি বয়ে দিয়েছে পাকিস্তানকে, সেটি নির্দ্বিধায় বলা যায়।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শারজিল খানকে সঙ্গে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৬৮ রান সংগ্রহ করেন হাফিজ। শারজিল ২৯ রান করে ফিরলে বাবর আজম নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ৭২ রানের জুটি হাজিফ। দলীয় ১৪০ রানে বাবর আজম (৩৪) অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের দ্বিতীয় শিকার হন।
দুই রানের ব্যবধানে ফিরে যান মোহাম্মদ হাফিজও (৭২)। তবে ততক্ষণে পাকিস্তান পেয়ে গেছে জয়ের ভিত্তি। শোয়েব মালিকের ৪২ রানে বাকী ৭৯ রানের পথটা পাড়ি দিতে কোনো কষ্টই হয়নি পাকিস্তানের। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে পুরো ১০ ওভার বল করেছেন হাফিজ। ৪৫ রান দিয়ে যদিও কোন উইকেটের দেখা পাননি।
অধিনায়ক হিসেবে মোহাম্মদ হাফিজের এটিই ছিল প্রথম ওয়ানডে। এর আগে টি-টোয়েন্টির নিয়মিত অধিনায়ক থাকাকালীন দেশকে ২৯ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে জয় পেয়েছেন ১৭ ম্যাচে, হেরেছেন ১১টিতে (একটি ম্যাচ পরিত্যাক্ত)।
২০১২ সালে একটি টেস্ট ম্যাচেও অধিনায়কত্ব করেছিলেন, যে ম্যাচে পরাজিত হয় পাকিস্তান। তবে ভারপ্রাপ্ত ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নেমে মোহাম্মদ হাফিজ দেশের বড় কীর্তিই এনে দিলেন যেন।
মন্তব্য চালু নেই