অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

পরিকল্পিত নগরায়নের অভাবে বৃষ্টি অনেক সময়ই রাজধানীবাসীর কাছে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু বৈশাখের দাবদাহ যখন চারপাশকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করছে তখন তো বৃষ্টির প্রার্থনাই করবে সবাই। নগরবাসীও চাতক পাখির মতো এক মুহূর্ত বৃষ্টির জন্য অধীর হয়ে অপেক্ষা করছিল। অবশেষে সেই মেঘভাঙা বৃষ্টিই তাদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ভিজিয়ে গেল গোটা শহরকে। শীতল করে দিয়ে গেল চাককের শুষ্ক ঠোঁট।

রোববার (১ মে) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে হঠাৎ করেই রাজধানীতে বৃষ্টি শুরু হলে মুহূর্তেই যেন মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে। কাঠফাটা গরমে ঘামে নেয়ে বাড়ি ফেরার পরিবর্তে আজ অনেকেই ভেজা শরীরে ঘরে ফিরবেন- এমনটি ভেবেই অনেককে উল্লসিত দেখা গেছে।

অথচ মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই দুপুরের দিকে রমনার নির্জন আমের ছায়ায় বসেছিলেন প্রেমিকযুগল। আগের দিন থেকেই শ্রমিক দিবসের ছুটিতে সারা দিন ঘুরে বেড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু সকালের সূর্য মাথার উপরে উঠার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের পরিকল্পনা এলোমেলো করে দিতে থাকে প্রখর তাপদাহ। তারপর কী আর করা! সব ঘোরাঘুরি বাদ দিয়ে নির্ভার হয়ে বসে পড়লেন বৃক্ষের শীতল ছায়ায়।

এ শুধু প্রেমিকযুগলের ক্ষেত্রেই নয়, গত কয়েকদিন যাবত দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করায় প্রখর গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় যাদের বাস তাদের কথা তো বলার অপেক্ষাই রাখে না। চারপাশের দেয়ালবদ্ধতায় নগরবাসীর প্রায় সেদ্ধ হওয়ার উপক্রম।

প্রখর তাপদাহে যখন গোটা দেশ জ্বলছে ঠিক তেমনই সময়ে অপেক্ষার অবসান হলো। রাজধানীতে এক পশলা বৃষ্টি যেন ক্ষণিকের স্বস্তি দিয়ে গেলো গরমে হাহুতাশ নগরবাসীকে। তবে টানা বৃষ্টি পরক্ষণেই নগরবাসীর মনে জলাবদ্ধতার জ্বালা ধরাতে পারে- এমন ভাবনাও স্বাভাবিকভাবেই আসছে অনেকের মনে।



মন্তব্য চালু নেই