অপেক্ষা করুন, সংলাপ হবে : তোফায়েল আহমেদ

‘অপেক্ষা করুন, সংলাপ হবে। সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হলে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য যথাসময়ে সংলাপ হবে। সেজন্য আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে।’

শনিবার এক সেমিনারে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের বক্তব্যের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ কথা বলেন।

তোফায়েল বলেন, ‘আপনারা সংলাপ চাচ্ছেন। কিন্তু কার কাছে? যে সরকারকে অবৈধ বলছেন, সে সরকারের কাছে!’

রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক এ সেমিনার আয়োজন করে।

সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শমসের মবিন চৌধুরী, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার প্রমুখ।

সামরিক শাসন রাজনীতিবিদদের হাত থেকে রাজনীতি কেড়ে নেয় বলে মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর দেশ দু’বার যখন সামরিক শাসনের কবলে পড়েছে, তখনই রাজনীতি রাজনীতিকদের হাতছাড়া হয়েছে।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সামরিক শাসনের সময় যারা মন্ত্রিত্ব পেয়েছিলেন, তারা কখনও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তারা মন্ত্রী হওয়ার পর রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়েছিলেন। তখন থেকেই তৃণমূল পর্যায়ের রাজনীতিবিদদের অবমূল্যায়ন শুরু হয়েছে। দল ও দেশের মধ্য থেকে গণতন্ত্রের চর্চা উঠে গেছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের খুব গুরুত্ব দিতেন। তখন দলে গণতন্ত্র ছিল। তাই দলের ভেতরে ও বাইরে আইন মানার বাধ্যবাধকতা দেখা যেতো। কিন্তু বর্তমানে প্রতিটি দলে এর অভাব দেখা যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বহুদিন ধরেই দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রদের কোনো ইউনিয়ন নেই। ইউনিয়ন থাকলেও সেখানে নির্বাচন নেই। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ত্যাগী, নেতৃত্বের গুণসম্পন্ন নেতা বের হচ্ছে না, যা আগামী রাজনীতির জন্য খুবই নেতিবাচক।’



মন্তব্য চালু নেই