‘অপহৃত হইনি’, বিয়ে করে জানাল নাবালিকা
‘আমার নাবালিকা মেয়ে অপহৃত হয়ে গিয়েছে। ওকে খুঁজে বার করুন।’ বসিরহাটের কাউন্সিলর সুরাইয়া বেগম অভিযোগ জানিয়েছিলেন থানায়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জেলা পুলিশের হাতে ভিডিও সিডি পাঠাল কাউন্সিলরের কন্যা নবম শ্রেণির খাদিজা পারভিন। জানাল, কোনও অপহরণ নয় নিজের ইচ্ছেতেই চলে গিয়েছে সে।
বসিরহাটের দু’নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বাড়ি দণ্ডিরহাট গ্রামে৷ তাঁর স্বামী আবদুল হাই সিদ্দিক মণ্ডল ওরফে লাল্টু এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি৷ স্ত্রী’র ওয়ার্ডেই আবদুল আগে কাউন্সিলর ছিলেন৷ সুরাইয়া বেগমের মেয়ে খাদিজা বেশ কিছুদিন ধরে পিসির বাড়িতে ছিল৷ শনিবার রাতে আচমকাই সে উধাও হয়ে যায়৷ রটে যায়, পিসির বাড়ি থেকে দুষ্কৃতীরাই তুলে নিয়ে গিয়েছে তাকে৷ রাতে বসিরহাট থানায় যান মেয়েটির বাবা৷ পুলিশের কাছে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
অভিযোগ পাওয়ার পরেই তল্লাশি শুরু করে পুলিশ৷ সমস্ত চেকপোস্টে জানিয়ে দেওয়া হয় খাদিজা নিরুদ্দেশ হওয়ার খবর৷ পাঠিয়ে দেওয়া হয় মেয়েটির ছবি৷ জেলার একাধিক থানাতেও পাঠিয়ে দেওয়া হয় ছবি৷ কোনও নাবালিকা মেয়েকে পাওয়া গেলে অবিলম্বে যোগাযোগ করতে বলা হয় বসিরহাট থানায়৷ রবিবার সকালেই একটি ভিডিও সিডি এসে পৌঁছয় জেলা পুলিশের দফতরে৷ সেই ভিডিও চালাতেই চমকে যান পুলিশের আধিকারিকরা৷ ভিডিওতে স্বয়ং খাদিজা৷ ভিডিওতে সে বলেছে, “আমি অপহৃত হইনি৷ আমাকে কেউ জোর করে তুলে নিয়ে যায়নি৷ নিজের ইচ্ছেতেই আমি বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছি।”
১৫ বছরের মেয়েটির দাবি, ১৮ মাস আগে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল৷ কিন্তু বাড়ির লোক তা মেনে নিচ্ছিল না৷ বাধ্য হয়েই তাই ওই যুবকের এক বন্ধুর বাইকে করে শনিবার পালিয়ে যাই সে৷ এমনকী অপহরণের অভিযোগ তুলে নেওয়ার অনুরোধও করেছে খাদিজা৷ এদিকে পুলিশকে ভাবাচ্ছে অন্য একটি তথ্য৷ খাদিজার দাবি অনুযায়ী বিয়ে হয়ে গেলেও এখনও সে নাবালিকা৷ তবে তাকে জোর করে নিয়ে আসতে পুলিশ যেতে পারে কি না তা নিয়ে ধন্দে প্রশাসন৷ আপাতত তাই আদালতের নির্দেশের উপরেই ভরসা রাখছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ। -সংবাদ প্রতিদিন।
মন্তব্য চালু নেই