মানবাধিকার কর্মী সমাবেশে রফিকুল
‘অপকর্ম’ ঢাকতে মিডিয়ার ওপর ‘আঘাত’
অপকর্ম যেন প্রকাশ না পায় সে জন্য সরকার এখন মিডিয়ার ওপর আঘাত হানছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধের নতুন অপচেষ্টার’ প্রতিবাদে মানবাধিকার কর্মী সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ যাতে কথা বলতে না পারে এবং তাদের অপকর্ম গোপন রাখতেই পত্রিকার কণ্ঠরোধে কালো আইন করছে। এই আইন চালু হলে সাংবাদিকদের বিবেক নিয়ে বেঁচে থাকার সুযোগ থাকবে না। তাই সাংবাদিকসহ সব পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।’
স্বৈরাচারী ও বাকশালী সরকার এক হয়ে শাসন চালাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্বে কোথাও এমন নজির নেই সংসদে একটি দলের প্রধান, আরেকটি দলের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং তার স্ত্রী সংসদের বিরোধী দলের নেতা। এটা সম্পূর্ন সংবিধান পরিপন্থী। আর এই সত্য কথাটা এরশাদের ভাই জি এম কাদের বলেছেন।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭২-৭৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কালো আইন করে চারটি পত্রিকা রেখে বাকি পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে বাকশাল কায়েম করেছিল। শেখ হাসিনা আবার তার পিতার কালো আইন পুনরুজ্জীবিত করছে। আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাস হলো, ভিন্ন মতকে সহ্য করতে না পারা। আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই নিজেদের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে যাতে কেউ কথা বলতে না পারে সে জন্য পত্রিকার কণ্ঠরোধ করেছে।’
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘কোনো সরকারই চিরস্থায়ী নয়। সরকার পরিবর্তন হবেই। আপনারাও চিরকাল থাকবেন না। তাই গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসুন।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভয় পেলে চলবে না। বৃহত্তম আন্দোলন করতে হবে। ঈদের পরে বেগম জিয়া যে আন্দোলনে ডাক দিয়েছেন সে আন্দোলনে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাতে হবে। অন্যথায় দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে না।’
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর রফিকুল ইসলাম মিয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) মো. হানিফ প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই