অন্যের প্রেমিক-প্রেমিকা ছিনিয়ে প্রেম করলে শেষ পরিণতি কী হয় জানুন
দুজনের কিভাবে দেখা হয়েছিল, তার ওপর নির্ভর করে বলা যায় না সম্পর্ক সফল হবে কিনা। কিন্তু এটাও নাকি বলা যায়।
গবেষণায় বলা হয়, যদি অন্যের সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে ছিনিয়ে নেন, তবে নতুন এ সম্পর্কেও প্রতারণার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। এ ক্ষেত্রে যাকে অন্যের কাছ থেকে নিজের করে নিলেন তিনি প্রতিশ্রুতিশীল থাকবেন না সম্পর্কের প্রতি। এ সম্পর্কে তৃপ্তিও থাকে না।
এটা বেশ বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। দেখা গেছে, ৬৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৫৪ শতাংশ নারী রয়েছেন এ দলে। এরা বর্তমানে দীর্ঘ সম্পর্কে জড়িয়ে। কিন্তু যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন তিনি অন্য কারো কাছ থেকে তাকে ছিনিয়ে এনেছেন।
ইউনিভার্সিটি অব সাউথ আলাবামার মনোবিজ্ঞানীরা জানান, অন্যের সঙ্গী-সঙ্গিনীকে কোনো না কোনোভাবে নিজের করে নেওয়ার কারণে সম্পর্কের গুণগত মান আরো খারাপ হয়ে যায়। বরং নতুন এ সম্পর্কে প্রতারণার সম্ভাবনা আরো বেড়ে যেতে পারে।
গবেষকরা ১৩৮ জন মানুষের ওপর গবেষণা চালান। এই জুটিরা সবাই প্রায় ৩৬ মাস ধরে সম্পর্কে জড়িয়ে। তাদের সবার গড় বয়স ২০ বছর। অংশগ্রহণকারীদের ৭১ শতাংশই নারী।
মনোবিজ্ঞানী জশুয়া ফস্টার বলেন, যারা অন্যের প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রী ছিনিয়ে নেন, তারা সমাজের চোখে নতিবাচক ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন। তা ছাড়া নতুন সম্পর্কটাও খুব বেশি ভালো হয় না। এখানে প্রতিশ্রুতি, বিশ্বস্ততা, দায়িত্বশীলতা এবং অন্তরঙ্গতা অনেক কম থাকে। নতুন এ সম্পর্কের বাইরেও তারা অন্যদের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
গবেষণায় জানানো হয়, ১০-৩০ শতাংশ সম্পর্ক তৈরি হয় অন্যের সঙ্গী-সঙ্গিনী ছিনিয় আনার মাধ্যমে। কিন্তু নতুনভাবে তৈরি হওয়া এ সম্পর্ক কেন ক্ষতিকর তা বুঝতে আরো বেশি গবেষণা প্রয়োজন।
হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের সাইকিয়াট্রি বিভাগের ক্লিনিক্যাল প্রফেসর রবার্ট ওয়ালডিনজার অ্যাডাল্ট ডেভেলপমেন্টের ৭৭ বছরের এক গবেষণার চতুর্থ পরিচালক হিসাবে কাজ করছেন। ওই গবেষণায় বলা হয়, ঝগড়া-বিবাদ না হওয়াকেই সুখী সম্পর্ক বলা যায় না। বরং একে অপরের সমর্থনে জড়িয়ে থাকাটাই সত্যিকার সুখী সম্পর্কের নামান্তর।
মন্তব্য চালু নেই