অনেকদিন পর জুনায়েদ সিদ্দিকী

জেমি সিডন্সের প্রিয় ছাত্র ছিলেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। সিডন্স বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ থাকাকালীন জুনায়েদের ব্যাটও সমানে কথা বলেছে। কিন্তু সিডন্স-অধ্যায় শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাম হাতি এই টপঅর্ডারের ব্যাটও সেভাবে আর কথা বলেনি।

তাইতো দীর্ঘদিন জাতীয় দলে উপেক্ষিত জুনায়েদ। একই সঙ্গে অফ ফর্মও ভোগাচ্ছিল তাকে। এবার বিসিএলে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন তিনি। অনেকদিন পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। ইসলামী ইস্ট জোনের বিপক্ষে ১৩৬ রানে দুর্দান্ত এক ইসিংসের সুবাদে বিসিবি নর্থ জোনও ৩২৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে তুলেছে।

সপ্তাহ খানেকও সময় নেই পূর্নাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। তার আগে গত পাঁচ এপিল থেকে চার দলকে নিয়ে শুরু হয়েছে বিসিএলের ওয়ানডে আসর। মঙ্গলবার ফতুল্লায় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামে জুনায়েদ সিদ্দিকী বিসিবি নর্থ জোন।

ইসলামি ব্যাংক ইস্ট জোনের বিপক্ষে তার উইলো যেন হয়ে উঠেছে তরবারি। ইস্ট জোনের বোলারদের এদিন পাড়ার বোলারের পরিণত করেন তিনি। মাহমুদুল হাসানকে সঙ্গী করে উদ্বোধনী জুটিতে তুলে নেন ১৬৮ রান। যদিও মাহমুদুল হাসান (৮০) রানে ফিরে গেলেও ঠিক কাংখিত সেঞ্চুরির দিকেই এগুতে থাকেন। প্রথমে ৪৭ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার পর ১০৫ বলে পেয়ে যান সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত নাবিল সামাদের ঘুর্নিতে বিভ্রান্ত হয়ে আসিফ আহমেদের হাতে ধরা পড়েন জুনায়েদ।

যখন সাজঘরে ফিরছিলেন এ বাঁ-হাতি ওপেনার, তখন তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছিল ১৩৬ রানে দুর্দান্ত এক ইনিংস। এদিন তিনি তার ইনিংসটিকে সাজিয়েছিলেন ১২টি বাউন্ডারি ও চার ছক্কায়। তবে জুনায়েদ ও মাহমুদুল যেভাবে ব্যাট করছেন, পরে একই ধারা অব্যাহত রাখতে পারেনি বিসিবি নর্থ জোনের ব্যাটসম্যানরা। তারপরও এর মাঝে ২৫ বলে সাব্বির রুমামানের ৩২ রানের ওপর দাঁড়িয়ে ৩২৮ রানের পাহাড়সম স্কোর গড়ে তোলে বিসিবি। তবে অলআউট জয়ে যায় তারা। ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের আরাফাত সানি ৫১ রানে ৩টি এবং নাবিল সামাদ ও মুমিনুল হক সৌরভ ২টি করে উইকেট নেন।



মন্তব্য চালু নেই