রাবির আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতা

অনিয়মিত শিক্ষার্থীকে খেলানো নিয়ে ধুম্রজাল : মিলছে না সদুত্তর

ইয়াজিম ইসলাম পলাশ, রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতায় নিয়মের তোয়াক্কা না করে অনিয়মিত ছাত্রকে খেলানোর অভিযোগ নিয়ে ধুম্রজাল দেখা দিয়েছে। গত রোববার খ গ্রুপের কোয়ার্টার ফাইনালের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ।

জানা যায়, গত রোববার ‘খ’ গ্রুপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ। খেলায় ট্রাইব্রেকারে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ বিজয়ী হয়। তবে প্রতিপক্ষ দলের ফয়সাল বিভাগের নিয়মিত শিক্ষার্থী নন উল্লেখ করে উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ।

বিশ্ববিদ্যালয় আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতার নিয়মাবলীর ১১ নম্বর নিয়মে উল্লেখ আছে, প্রতিযোগিতায় নিয়মিত ছাত্র খেলোয়াড়রাই অংশ গ্রহণ করতে পারবে (মাস্টার্স ও সমমান চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফলের পর মান উন্নয়ন অথবা উচ্চতর ডিগ্রির জন্য অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীরা নিয়মিত ছাত্র হিসেবে গণ্য হবে না)। কোন বিভাগের আপত্তি দ্বারা কোন খেলোয়ার অনিয়মিত ছাত্র খেলোয়ার প্রমাণিত হলে ওই খেলায় বিপক্ষ দলকে বিজয়ী বলে ঘোষনা করা হবে এবং এই প্রতিযোগিতা থেকে দোষী সাব্যস্ত বিভাগকে বহিস্কার করা হবে। অবৈধ ছাত্র খেলোয়াড় সম্পর্কে যে বিভাগ আপত্তি উত্থাপন করবে সেই বিভাগকেই পরবর্তী খেলায় অংশ গ্রহণ করার ৪৮ ঘন্টার পূর্বেই অবৈধতা প্রমাণ করতে হবে। নতুবা খেলার ফলাফল ঠিক থাকবে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম এক্রাম উল্যাহ অভিযোগ করে বলেন, খেলার নিয়মাবলীতে উল্লেখ আছে কোন অনিয়মিত ছাত্র খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারে না। কিন্তু গত রোববার ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক অনিয়মিত ছাত্রকে খেলানো হয়। আমরা এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শরীরচর্চা বিভাগের পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তারপরও আজ মঙ্গলবার বিকাল তিনটায় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ এবং সমাজ কর্ম বিভাগের মধ্যকার গ্রুপ ফাইনালের খেলা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অভিযোগের পাল্টা জবাবে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর মো. আজিজুল হক বলেন, ফয়সালের ফলাফল কেন স্থগিত তা পরীক্ষা কমিটি ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর ভালো জানেন।

এ বিষয়ে রাবি শরীরচর্চা বিভাগের পরিচালক চোধুরী মুনিরুজ্জামান বলেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রন দপ্তর থেকে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়েছে ফয়সাল বৈধ শিক্ষার্থী। তাই খেলার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

চিঠি পাঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুল গফুর বলেন, আসলে চিঠি পাঠানো হয়নি। আমরা আগে উপাচার্য স্যারের কাছে বিষয়টি জানাই। আর ফয়সাল বৈধ শিক্ষার্থী কিনা সে বিষয়টি এখনও প্রমাণিত হয়নি।



মন্তব্য চালু নেই