অধ্যাপক আবদুল গফুরকে ভাষাসৈনিক পদক প্রদান
সিএনসি’র ভাষা সৈনিক পদক ২০১৫ পেলেন অধ্যাপক আবদুল গফুর। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টায় ধানমন্ডির সেন্টার ফর কালচার (সিএনসি) আয়োজিত পিআরসি হলে (রোড-৫, বাড়ি ৪৩) রাষ্ট্রভাষা বাংলা ভাষা (১৯৪৭-২০১৫) শীর্ষক আলোচনা সভায় এ পদক প্রদান করা হয়।
প্রবীণ গবেষক শাহ আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে সিএনসির নির্বাহী পরিচালক, সাংবাদিক, কথাসাহিত্যিক ও মাহবুবুল হক স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটির অব বাংলাদেশ’র বাংলা বিভাগের প্রধান (সাবেক) অধ্যাপক মুহাম্মদ মতিউর রহমান। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এডভোকেট মুহাম্মদ ফয়জুলকবীর, রাজনীতিবিদ মো. জামিল হোসেন ও ইতিহাসবিদ মোহাম্মদ আরাফুল ইসলাম।
এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ইনকিলাবের নিয়মিত কলামলেখক মুহাম্মদ আবদুল কাহহার। প্রধান অতিথির ভাষণে অধ্যাপক আবদুল গফুর বলেন “৪৭-এ ভারত বিভক্ত না হলে এই ব-দ্বীপে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাভাষা চালু করা সম্ভব হতোনা।” তিনি আরো বলেন “অনেক ভুল ত্রুটি ও ইচ্ছাকৃত মিথ্যাচার আমাদের মুক্তিসংগ্রামের সাথে জড়িয়ে আছে।
এসব থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি স্বচ্ছ ইতিহাস চর্চার ওপর সবিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দ সম্মিলিতভাবে অধ্যাপক আবদুল গফুরের হাতে পদক, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেন।
উল্লেখ্য যে, প্রখ্যাত ভাষাসৈনিক অধ্যাপক আবদুল গফুর ৫২’র ভাষা আন্দোলনের এক কলমযোদ্ধা। ‘আমার স্বাধীনতা, আমার কালের কথা, স্বাধীনতার গল্প শোন’ নামের গ্রন্থগুলো তার উল্লেখযোগ্য রচনা। এছাড়াও তিনি সাপ্তাহিক সৈনিক এর সাবেক সম্পাদক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক, বহু গ্রন্থ প্রণেতা, দৈনিক ইনকিলাবের ফিচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বোপরি তিনি দেশ ও জাতির অন্যতম অভিভাবক।
এতদিন আমরা বইয়ের পাতায় সাহসি মানুষের গল্প পড়েছি। কিন্তু আজ সাহসি মানুষ হিসেবে ভাষাসৈনিক আবদুল গফুর এর নিজ মুখে ভাষা আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পেরে আমরা উচ্ছ্বাসিত। অধ্যাপক আবদুল গফুর বৃহত্তর ফরিদপুর (বর্তমান রাজবাড়ী) জেলার পাংশা উপজেলার দাদপুর গ্রামে ১৯২৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জন্ম গ্রহণ করেছেন। মইজুদ্দিন হাই মাদ্রাসায় অধ্যয়নের মধ্য দিয়ে পড়ালেখা শুরু হয়ে ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেন। তিনি দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার জন্মলগ্ন থেকে সহকারি সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন নুরুল ইসলাম খান মামুন।
মন্তব্য চালু নেই