অদ্ভুত কিছু পতাকা

লন্ডনের ন্যাশনাল ম্যারিটাইম জাদুঘরের গোপন গুদামঘরে রাখা আছে ঐতিহাসিক অনেক পতাকা। ব্রিটিশরা তাদের উপনিবেশিক আমলে বিশ্বের নানান প্রান্ত থেকে হত্যা-লুন্ঠনের মধ্য দিয়ে নিজেদের সমৃদ্ধ করেছে। আর তাই বিভিন্ন দেশের নানান ঐতিহাসিক নিদর্শন আজও লন্ডনের বিভিন্ন জাদুঘরে দেখতে পাওয়া যায়। ভারতের ময়ুর সিংহাসন থেকে শুরু করে আফ্রিকার আদিবাসীদের মুখোশ পর্যন্ত চুরি করে সংরক্ষণ করেছে ব্রিটিশরা। এমনকি ব্রিটিশ রানীর মুকুটে যে হীরে শোভা পায় শৌর্য্যের প্রতীক হিসেবে তাও চুরি করে আনা ভারত থেকে। তাই এই ব্রিটিশদের কাছে যে বিভিন্ন দেশের বা সম্প্রদায়ের ব্যবহৃত বহু প্রাচীন পতাকা থাকবে তাতে আর অবাক হবার কি আছে।
১৯ শতকের চীনা পতাকা থেকে শুরু করে নাৎসী বাহিনীর বিভিন্ন ছাপাকৃত দলিলও রয়েছে জাদুঘরে। ন্যাশনাল ম্যারিটাইম জাদুঘরের কিউরেটর জেমস ডেভির মতে, ‘পতাকা হলো জাতীয়তা, ভূমি ও গর্বের প্রতীক। যখন কোনো জাহাজ আত্মসমর্পন করে তখন তারা সাদা পতাকা উত্তোলন করে। যুদ্ধের সময় শত্রু-মিত্র দুই বাহিনীর মধ্যেই পতাকার ব্যবহার ছিল। গুলি শুরু করার আগে শুধুমাত্র নিজেকের বিশেষ রঙে রাঙানো পতাকাটি উত্তোলন করতে হতো।’
উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার ফলে দিনকে দিন পতাকার ব্যবহার করে এসেছে। এখন আর জাহাজগুলো পতাকা ব্যবহার করে না। রেডিও-টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন পন্থায় এখন যোগাযোগ নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে পতাকা তার কার্যকারিতা হারালেও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয়তা প্রকাশে পতাকার ব্যবহার আজও হয়। এর কোনো বিকল্প আজও তৈরি হয়নি। জাদুঘরে থাকা তেমনি বেশ কয়েকটি পতাকা আজ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
মন্তব্য চালু নেই