অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত সেই মুনিরার দরিদ্র পরিবারের পাশে দাড়ালেন জার্মান প্রবাসী এক ব্যাক্তি

নওগাঁয় অগ্নিদগ্ধ পয়ে মারা যাওয়া মুনিরার দরিদ্র পরিবারের পাশে দারালেন জার্মান প্রবাসী এক ব্যাক্তি। নওগাঁর মহাদেবপুরের দরিদ্র পরিবারের গৃহবধূ অগ্নিদগ্ধ মুনিরাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে, সংবাদ পরে জার্মান প্রবাসী সাঈদ শাকিল নামের এক ব্যাক্তি নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য, লন্ডন থেকে প্রকাশিত অনলাইন পত্রিকা জিবি নিউজ ২৪ ডটকম ও দৈনিক-লাল গোলাপ পত্রিকার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক জি,এম মিঠন ও কালের কন্ঠ পত্রিকার নওগাঁ প্রতিনিধি ফরিদুল করিম ফরিদের মোবাইল ফোন নাম্বারে যোগাযোগের মাধ্যমে মুনিরার পরিবারের বিষয়ে বিভিন্ন খোজ খবর নেয়ার পর দরিদ্র পরিবারটির প্রতি সহযোগীতার আশা ব্যাক্ত করেন।

এরপর তিনি দরিদ্র ঐ পরিবারকে বাছুর সহ গাভী গরু দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং জার্মান থেকেই সাংবাদিকের কাছে বাছুর সহ গাভী কেনার জন্য ২৯ হাজার ৪ শত টাকা পাঠিয়ে দেন। সাংবাদিক জি,এম মিঠন ও ফরিদুল করিম ফরিদ ঐ টাকায় গাভী ও বাছুর ক্রয় করলে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ) মেহেদী উল শহীদ মুনিরার বাড়িতে গিয়ে তার দরিদ্র পিতা, মাতা মোছাদ্দেক আলী ও খাইরন বিবির হাতে গাভী ও বাছুর তুলে দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক-কালের কন্ঠ ও দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি ফরিদুল করিম ফরিদ, দৈনিক- করতোয়া ও যুগান্তর পত্রিকার নওগাঁ প্রতিনিধি নবির উদ্দীন, লন্ডন থেকে প্রকাশিত অনলাইন পত্রিকা জিবি নিউজ ২৪ ডটকম ও দৈনিক-লাল গোলাপের নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি জি,এম মিঠন, সাংবাদিক সুইট হোসেন, নওহাটা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই হাকিম, ওলামালীগ কেন্দীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আশেক এলাহী, ধান চাতাল ব্যবসায়ী ময়েন উদ্দীন, সাইফুল ইসলাম, স্থানিয় ইউপি চেয়ারম্যান এশরাক আলী সহ গ্রামের লোকজন।

উল্লেখ্য- ১০ মাসের অন্তসত্যা গৃহবধূ মুনিরা আক্তার সন্তান প্রসবের জন্য তার পিতা মোছাদ্দেক হোসেনের বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বাগধানা গ্রামে বসবাস করছিল। গত শনিবার (১১ এপ্রিল ২০১৫ ইং) সকালে অভাবী পিতার সংসারে চুলায় রান্না করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয় মুনিরা। গ্রামের কয়েক যুবক মুনিরাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করে দেয়।

ঐ দিনই মুনিরার দরিদ্র পিতা তার পরিবারের একমাত্র সম্বল একটি বোকনা গরু ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে মেয়ের চিকিৎসার করেন। কিন্তু মাত্র দুদিনেই চিকিৎসা ও রাজশাহীতে যাতায়াত করতে সামান্য ঐ টাকা শেষ হলে ভর্তির মাত্র একদিন পর রাজশাহী মেডিকেলের বার্ণ ইউনিট থেকে মুনিরাকে পিতার বাড়িতে এনে হাসপাতালের বেডের পরিবর্তে কচু পাতার বিছানায় রেখে স্থানিয়ভাবে কবিরাজি চিকিৎসা করান তার পরিবার।

ঘটনাটি জানার পর সাংবাদিক জি,এম মিঠন দৈনিক-লাল গোলাপ ও ক্রাইম বার্তায় সংবাদ প্রকাশ করলে পরে বিভিন্ন জাতীয় ও আজ্ঞলিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। এরি মাঝে অগ্নিদগ্ধর মাত্র ৪ দিনের মাথায় বুধবার রাতে মুনিরা মৃত্যৃর কোলে ঢলে পড়েন। সংবাদ প্রকাশের পর মুনিরার দরিদ্র পরিবারের সহযোগীতায় ইতিমধ্যে নওগাঁ জেলা প্রশাসক ও মহাদেবপুর উপজেলা প্রশাসন অগ্নিদগ্ধ মুনিরার মা খাইরন বিবির হাতে পৃথকভাবে নগদ ২০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই