অক্ষম পুরুষদের জন্য আসছে কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ!

বার আর ওষুধ নয়, সরাসরি কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ আসছে অক্ষম পুরুষদের জন্য। মার্কিন গবেষকরা এমনই আভাস দিয়েছেন। এ পুরুষাঙ্গ যৌনসুখও দেবে ষোলোআনা।

জানা গেছে, জন্মসূত্রে বা দুর্ঘটনার কারণে অনেক পুরুষই স্ত্রীর যৌন কামনা চরিতার্থ করতে অক্ষম। সংসার বাঁচাতে অনেকেই ট্যাবলেট-তেল-মলম তাবিজ-কবচ-ঝাড়ফুঁক নিয়ে থাকেন। কিন্তু ফলাফল শূন্য। তাদের জন্যই এ কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ তৈরি করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যারোলিনার ওয়েক ফরেস্ট ইনস্টিটিউট ফর রিজেনারেটিভ মেডিসিন সেন্টারের গবেষকরা সম্প্রতি দাবি করেছেন, তারা ৬টি কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ দপ্তরের ছাড়পত্র পাওয়া গেলে এই প্রযুক্তি বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগানো হবে।

গবেষকদের মতে, জন্মসূত্রে অনেক পুরুষের লিঙ্গের আকারগত ত্রুটি থেকে যায়। আবার অনেকের সে সমস্যা না থাকলেও সঙ্গমের সময় পুরুষাঙ্গের সঠিক কাঠিন্য ও উত্থান সম্ভব হয় না। এসব কারণে তারা যৌন মিলনে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারেন না। শারীরিক অক্ষমতার কারণে যৌনসঙ্গীর চাহিদা মেটাতে না পেরে হীনমন্যতায় ভুগতে দেখা যায় বহু পুরুষকে। বিবাহ বিচ্ছেদের পিছনেও এর প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে বলে জানা যায়। এই সমস্ত ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সমাধান হবে কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ। এর দ্বারা যৌন মিলনে স্বাচ্ছন্দ্য আসবে। রতিসুখ জোগাতে যৌনাঙ্গের স্বাভাবিক কাজই করবে কৃত্রিম এই অঙ্গ।

কীভাবে নির্মাণ হয় কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ?

মার্কিন গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রধানত হাত বা থাইয়ের পেশি থেকে ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিম লিঙ্গ গড়া হয়েছে। এর কাঠিন্য ও উত্থান স্বাভাবিক করতে ব্যবহার করা হয়েছে পেনাইল প্রস্থেটিক প্রযুক্তি। কৃত্রিম লিঙ্গের বহিরাঙ্গে পেশি সংযোগ গঠনকারী প্রোটিন কোলাজেন থেকে তৈরি এক বিশেষ কোষ তৈরি করা হয়েছে। এই কোলাজেন প্রথমে সংগ্রহ করা হয় কোনও স্বাভাবিক পুরুষাঙ্গের কোষ থেকে। এরপর দাতা কোষগুলি থেকে তার ডিএনএ রাসায়নিক উপায়ে ধুয়ে ফেলে দেয়া হয়েছে। তারপর রোগীর দেহে অবস্থিত লিঙ্গ অথবা অঙ্গহানির ক্ষেত্রে লিঙ্গের অবশিষ্ট অংশ থেকে সংগ্রহ করা কোষের সঙ্গে সেই কোলাজেন মিশিয়ে তা রোগীর দেহে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়।

বৈজ্ঞানিকদের দাবি, ইতিমধ্যে খরগোশের ক্ষেত্রে কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ ব্যবহার করে সুফল পাওয়া গেছে।



মন্তব্য চালু নেই