ফিফার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতলেন রোনালদো
লিওনেল মেসি ও আঁতোয়ান গ্রিজমানকে পেছনে ফেলে ফিফার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
সোমবার দিবাগত রাতে জুরিখে এক জমকালো অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো চালু করা ‘ফিফা বেস্ট প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড’ এর জন্য রোনালদোর নাম ঘোষণা করা হয়। গেল মাসে ফ্রান্সের ম্যাগাজিনের দেওয়া ব্যালন ডি’অর পুরস্কারও জিতেছেন তিনি। আর এবার জিতলেন ফিফার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও।
মূলত ২০১৬ সালে তার অসাধারণ সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ এই পুরস্কার জিতেছেন তিনি। প্রথম কোনো খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার এই পুরস্কার জিতলেন পর্তুগালের অধিনায়ক।
এদিকে ফিফা সেরা নারী খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের তারকা খেলোয়াড় কার্লি লয়োড। লেস্টার সিটির কোচ ক্লাউদিও রানিয়েরি নির্বাচিত হয়েছেন সেরা কোচ। আর সাবেক জার্মানির কোচ সিলভিয়া নেইদ নির্বাচিত হয়েছেন সেরা নারী কোচ। এদিকে প্রথম কোনো এশিয়ান হিসেবে পুসকাস অ্যাওয়ার্ড (বছরের সেরা গোলের পুরস্কার) জিতেছেন মালয়েশিয়ার খেলোয়াড় মো. ফাইজ সুব্রি। তিনি ২০১৬ সালে পেনাঙের হয়ে অসাধারণ গোলটি করেছিলেন।
গেল ছয় বছর ধরে দেওয়া হয়েছিল ফিফা ব্যালন ডি’অর পুরস্কার। কিন্তু ২০১৬ সালে ব্যালন ডি’অর ফিফা থেকে আলাদা হয়ে যায়। ডিসেম্বরে ফ্রান্সের ফুটবল ম্যাগাজিন আলাদাভাবে তাদের ব্যালন ডি’অর পুরস্কার ঘোষণা করে। যা তারা ১৯৫৬ সাল থেকে দিয়ে আসছিল। আর সোমবার দিবাগত রাতে প্রথমবারের মতো আলাদা পুরস্কার ঘোষণা করে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। যেটার নামকরণ করা হয়েছে ‘ফিফা বেস্ট প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড’।
ফিফার সদস্যভূক্ত দেশগুলোর কোচ ও অধিনায়ক, নির্বাচিত কিছু সাংবাদিক ও প্রথমবারের মতো অনলাইনে ভক্তরা ভোট দেন। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো মোট ভোটের ৩৪.৫৪ শতাংশ ভোট পান। লিওনেল মেসি পান ২৬.৪২ শতাংশ। আর অ্যান্তোনিও গ্রিয়েজমান পান ৭.৫৩ শতাংশ। মেসি ও রোনালদো সাধারণত একে অপরকে ভোট দেন না। সেটা এবারও বজায় রেখেছেন।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ২০০৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন। ২০১৬ সালে তিনি পেনাল্টি শ্যুটআউটে গোল করে রিয়াল মাদ্রিদকে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতান। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করে রিয়ালকে শিরোপা জেতান। ২০১৬ সালে পর্তুগালকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশটির ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জেতান ইউরো। গেল বছর রোনালদো সব ধরণের প্রতিযোগিতায় ৪৪ ম্যাচ খেলে ৪২ গোল করেছেন। ১৪টি গোলে সহায়তা করেছেন। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৬ গোল করেছেন। সবকিছু মিলিয়ে এই পুরস্কারের একক দাবিদার হয়ে উঠেন তিনি।
মন্তব্য চালু নেই