পুলিশের সঙ্গে সাঁওতালদের সংর্ঘষ : তীরবিদ্ধ ৯ পুলিশ, গুলিবিদ্ধ ৪ সাঁওতাল
রোববার (৬ নভেম্বর) পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারিদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংর্ঘষে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে তীরবিদ্ধ ৯ জন এবং গুলিবিদ্ধ ৪ জন। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জস্থ রংপুর চিনিকলের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে বিকেল ৫টার দিকে গাইবান্ধা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার এলাকা থেকে সাঁওতালদের হটাতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে র্যাব-পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সাঁওতালদের হটাতে সক্ষম হয়। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার সকাল ১১টার দিকে চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারিরা পুলিশ পাহাড়ায় সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার সংলগ্ন এলাকায় জমিতে আখ কাটতে যায়। কিন্তু খামারের জমি অবৈধভাবে দখল করে থাকা সাঁওতালরা তাদের বাঁধা দেয়। এতে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারিদের সঙ্গে সাঁওতালদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংর্ঘষ বাঁধে। থেমে থেমে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা চলে।
এসময় সাঁওতালরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং তীর ছোড়ে। এতে ৯ জন পুলিশ সদস্য তীরবিদ্ধ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে ৪ জন সাঁওতাল গুলিবিদ্ধ হয়।
আহতদের মধ্যে তীরবিদ্ধ গোবিন্দগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আকতার হোসেন, সহকারি উপ-পরিদর্শক রাজু মিয়ার অবস্থা গুরুতর। আহতদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাত্ক্ষণিকভাবে গুলিবিদ্ধ সাঁওতালদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ইক্ষু খামার জমি উদ্ধার সংহতি কমিটির সহ-সভাপতি ফিলিমন বাস্কে রোববার বিকেলে মুঠোফোনে দাবি করেন, পুলিশের ছোড়া গুলিতে আমাদের ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এরমধ্যে একজনের মাথায়, একজনের কোমরে ও দুইজনের পায়ে গুলি লাগে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত সরকার ঘটনাস্থল থেকে মুঠোফোনে বলেন, সাঁওতালদের কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছে কিনা, আমার জানা নেই। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। তিনি বলেন, সাঁওতালদের ছোড়া তীরে গোবিন্দগঞ্জ থানার ৯ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন
মন্তব্য চালু নেই