সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অবৈধ পথে কিছু ওষুধ বাংলাদেশে আসে
অবৈধ পথে কিছু ওষুধ বাংলাদেশে আসে বলে সংসদকে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
অবৈধ পথে কিছু ওষুধ বাংলাদেশে আসছে এ কথা স্বীকার করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে সমস্ত ড্রাগ অবৈধ বা চোরাই পথে আমাদের দেশে আসছে তা জীবন বাঁচানোর জন্য জরুরি প্রয়োজনের লাইফ সেভিং ড্রাগ ও এসেনশিয়াল ড্রাগ। এগুলো হাসপাতালগুলোর ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ব্যবহৃত হয়।’
মঙ্গলবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় (বাজেট) অধিবেশনে সংসদ সদস্য একে এম মাইদুল ইসলামের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সংসদে এ কথা জানান।
এর আগে বিকেল পাঁচটায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দশম সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশন শুরু হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এসব ওষুধের মধ্যে রয়েছে ব্যথানাশক, কার্ডিওভাসকুলার, অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ, অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট, অ্যান্টিহ্যামারেজিক, ৪র্থ জেনারেশন অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিরেসপিরেন্ট, হরমোন, এনজাইম, হাইড্রোকট্রিসন, স্টেরইড ইত্যাদি। এসব ঔষধ ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড হতে চোরাই পথে বাংলাদেশে আসে।
আরেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিনের প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি সারাদেশে মেডিকেল কলেজগুলোতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ইন্টার্নি চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে এসব অরাজকতা ও বিশৃঙ্খল ঘটনার তদন্তের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’
আনোয়ারুল আজীমের (আনার) অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত ফার্মাসিস্ট ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদসমূহকে নার্সদের ন্যায় দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীতকরণসহ বেতন স্কেল প্রদানের কার্যক্রম চলমান আছে।’
মন্তব্য চালু নেই