১৭ বছরে প্রথম দুই ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট শেষ মুহূর্তের আপিল বাতিল করে দিলে দুই বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে আরকানসাস রাজ্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গত ১৭ বছরের ইতিহাসে এটি হচ্ছে কার্যকর হওয়া প্রথম জোড়া মৃত্যুদণ্ড। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন মার্কিন নাগরিক হচ্ছেন জ্যাক জোনস ও মার্সেল উইলিয়ামস। ১৯৯০ এর দশকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে এ দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজনের একজন উইলিয়াম এর দণ্ড কার্যকর প্রক্রিয়াকে তার আইনজীবী ‘অমানবিক’ বলে অভিযোগ করায় দণ্ড কার্যকর করার সময় পেছানো হয়েছিল। ১৮০ কেজি ওজনের উইলিয়াম এর শরীরে শিরা খুঁজে পেতে কষ্ট হচ্ছিল কারা কর্তৃপক্ষের। তবে জেলা জাজের একটি সংক্ষিপ্ত শুনানি শেষে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর প্রক্রিয়া চালিয়ে যান।

১৯৯৭ সালে স্টেসি এরিকসনকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। উইলিয়ামস আরও দুই নারীকে অপহরণ ও ধর্ষণ করেছিল।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর মার্কিন জ্যাক জোনস ১৯৯৬ সালে ম্যারি ফিলিপস নামে এক নারীকে ধর্ষণ করে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপর ম্যারি ফিলিপসের ১১ বছর বয়সী মেয়েকেও হত্যা করার চেষ্টা করে।

মৃত্যুদণ্ড ভোগের আগে সে মেয়েটির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে জোনস। বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক সে মেয়েটির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, ‘আশা করি এ সময়ের মধ্যে তুমি বুঝতে পেরেছো সত্যিকার আমি কে এবং আমি কোন দানব নই।’

এপ্রিল মাসের এগারো দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আটজনের মধ্যে এরা হচ্ছেন দুজন। মিদাজোলাম নামে একটি ঔষধ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডগুলো কার্যকর করতে চান কর্তৃপক্ষ। মিদাজোলাম ঔষধটি ইনজেকশনে ব্যবহার করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই